অনলাইন ডেস্ক
রয়টার্সের সংবাদে বলা হয়েছে, গত জুন মাসজুড়ে প্রতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে বেকার ভাতার আবেদন করা মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, মে মাসের শেষ দিকে মেমোরিয়াল ডের ছুটির কারণে সমন্বয়জনিত সমস্যা ও কিছু রাজ্যে বেকার ভাতাজনিত বিধি পরিবর্তনের কারণে এমনটা হয়েছে। কিন্তু এখন অর্থনীতিবিদেরা মনে করছেন, বিষয়টি স্রেফ বিধিবিধান পরিবর্তনের কারণে নয়। তাঁরা এখন বিশ্বাস করেন, শ্রমবাজারের চাঙা ভাব কমে আসছে।
সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার কমছে। বিশ্লেষকদের ধারণা, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসেই ফেডারেল রিজার্ভ নীতি সুদহার কমাতে পারে।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের যুক্তরাষ্ট্র–বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ ন্যান্সি ভেনডেন হুটেন রয়টার্সকে বলেন, বেকার ভাতার জন্য আবেদন করা মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ হলো, চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে গেছে। কর্ম খালির বিজ্ঞাপন কমে গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, গত ২৯ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে রাজ্যপর্যায়ে বেকার ভাতার আবেদন করা মানুষের সংখ্যা ৪ হাজার বেড়েছে। গত চার সপ্তাহে গড়ে ২ হাজার ২৫০ জন মানুষ এই আবেদন করেন। অর্থনীতিবিদেরা এ–ও বলছেন, ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রে স্বাধীনতা দিবসের ছুটি, এ সময় অনেক কারখানা বন্ধ থাকে। সে কারণেও বেকার ভাতার আবেদন বেড়েছে।
এই পরিস্থিতি ৪ জুলাইয়ের পরও অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় গাড়ি কোম্পানিগুলো কারখানায় নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করতে কিছুদিন কারখানা বন্ধ রাখে।
সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার কমে আসছে। আরেক প্রতিবেদনে জানা গেছে, জুন মাসে দেশটির বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বেড়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার; মে মাসে এই সংখ্যাটা ছিল ১ লাখ ৫৭ হাজার। যদিও অর্থনীতিবিদদের নিয়ে করা রয়টার্সের এক জরিপের পূর্বাভাস ছিল, জুন মাসে দেশটির বেসরকারি খাতে কর্মসংস্থান বাড়বে ১ লাখ ৬০ হাজার।
সরকারি পরিসংখ্যানে আরও জানা গেছে, গত ২২ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে ভাতাপ্রাপ্তির প্রাথমিক পর্যায় শেষ হওয়ার পরও ভাতা পাওয়া মানুষের সংখ্যা ২৬ হাজার বেড়ে ১৮ লাখ ৫৮ হাজারে উন্নীত হয়েছে। বেকার ভাতার পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২১ সালের নভেম্বর মাসের পর এটি সর্বোচ্চ। মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যে শিক্ষক ব্যতীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্য কর্মচারীরা গ্রীষ্মাবকাশে বেকার ভাতার আবেদন করতে পারবেন, এমন বিধান করার কারণে এই হার বেড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার পর এই হার কমে যাবে।
এদিকে জুন মাসে দেশটির অকৃষি খাতে কর্মসংস্থান ১ লাখ ৯০ হাজার বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে; কাল শুক্রবার এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ফলে জুন মাসে দেশটির বেকারত্বের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা হবে ৪ শতাংশ।
ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল গত মঙ্গলবার বলেন, মার্কিন অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমছে। তবে নীতি সুদহার কমানোর আগে নীতিপ্রণেতাদের হাতে আরও কিছু তথ্য দরকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা