অনলাইন ডেস্ক
এরদোয়ান ১১ নভেম্বর, শনিবার রিয়াদে আরব ও মুসলিম নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। এই সম্মেলনে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর ‘বর্বর হত্যাকাণ্ডের’ নিন্দা করা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রোববার রিয়াদ থেকে ফিরতি ফ্লাইটে তিনি তুর্কি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমাদের মিশর ও উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা উচিত এবং যুক্তরাষ্ট্রকে চাপ দেওয়া উচিত।’
তিনি যোগ করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়াতে হবে। পশ্চিমের উচিত ইসরায়েলের ওপর চাপ বাড়ানো। যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করা আমাদের জন্য অত্যাবশ্যক। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে দেশকে জড়িত করতে হবে তা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের ওপর এই দেশের প্রভাব রয়েছে।’
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই গাজা উপত্যকাকে ফিলিস্তিনি ভূমি হিসেবে মেনে নিতে হবে। বাইডেন যদি গাজাকে ফিলিস্তিনি জনগণের ভূমির পরিবর্তে দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের বা ইসরায়েলের ভূমি হিসাবে দেখে তাহলে আমরা বাইডেনের সঙ্গে একমত হতে পারি না।’
গাজায় ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের কট্টর সমালোচনা করেছেন এরদোয়ান। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ইসরায়েলের চলমান হামলায় এ পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই শিশু এবং বেসামরিক নাগরিক ছিল।
এদিকে রোববার ইস্তাম্বুলে আরেকটি বক্তৃতায় এরদোয়ান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেছেন, ‘নেতানিয়াহু, এখন আপনার সুসময় চলছে। তবে ভবিষ্যতে আপনার জন্য আরও খারাপ দিন অপেক্ষা করছে। নেতানিয়াহু, আপনার জানা উচিত যে আপনি ক্ষমতা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, ১৭ নভেম্বর, শুক্রবার এরদোয়ান জার্মানি সফর করবেন। এরপর তিনি মিশর যাবেন। আগামী সপ্তাহে ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে তুরস্কে স্বাগত জানানোর কথা রয়েছে তার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা