যুক্তরাজ্যের এসেক্সে একটি লরির কন্টেইনারের মধ্যে মৃত অবস্থায় পাওয়া ৩৯ জনই চীনের নাগরিক বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য পুলিশ। এই নাগরিকরা কিভাবে লরিতে মারা গেল সেটি জানার জন্য পুলিশ লরির চালক মো রবিনসনকে (২৫) জিজ্ঞাসাবাদ করছে। পুলিশ ধারণা করছে এই চীনা নাগরিকরা অবৈধ অভিবাসনের আশায় যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে লরিতে করে ঢোকার চেষ্টা করছিল।
নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড পুলিশ ইতোমধ্যে সেখানকার দু’টি বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে। ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির বিশ্বাস, এ ঘটনার সঙ্গে কোনো সংঘবদ্ধ চক্র জড়িত।
বুধবার (২৩ অক্টোবর) মধ্যরাতে ওয়াটারগ্লেড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক এলাকায় লরিটি থেকে ৩৮ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও একজন কিশোর বয়সীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কন্টেইনারের ভেতর তাপমাত্রা প্রায় মাইনাস ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৃত প্রত্যেকের নাম-পরিচয় শনাক্ত করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
দিনে দিনে অবৈধভাবে উন্নত দেশগুলোতে যাবার সময় মৃত্যুর হার অনেক বেড়েছে। এক্সেত্রে কেউ কেউ ট্রলার ডুবে কেউ বা লরিতে দম বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করছে। ২০০০ সালে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করার সময় কন্টেইনারে দম বন্ধ হয়ে মারা যান ৫৮ চীনা অভিবাসী। ডোভার থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০১৫ সালে অস্ট্রিয়ান মহাসড়কে পরিত্যাক্ত একটি লরির ভেতর পাওয়া গিয়েছিল ৭১ জনের মরদেহ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা