অনলাইন ডেস্ক
বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ডিপ্লয়মেন্ট ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারিভাবে আগামী জুলাই পর্যন্ত ৪ কোটি ডোজ করোনা টিকা সংগ্রহ করা হবে। আমার এখন পর্যন্ত ৩৩ লাখের বেশি লোককে ভ্যাকসিন দিতে সক্ষম হয়েছি। তাছাড়া ভ্যাকসিন নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে ৪৫ লাখের বেশি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যে অর্ডার আছে এবং কোভ্যাক্স যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা সেসব যদি ঠিকমতো পাই তাহলে ৪ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আমাদের হাতে থাকবে। এই ৪ কোটি ডোজ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মাসে আসবে, এরমধ্যে যদি কোনো পরিবর্তন লাগে সেটা করবো। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৫ দিনের মধ্যে একদিন ভ্যাকসিন নিয়ে আলোচনা করবো। সেরাম থেকে ভ্যাকসিন আনার পাশাপাশি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ভ্যাকসিন যদি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় সেগুলো নিয়েও আলোচনা করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ভ্যাকসিন গ্রহণের বয়সসীমা ৪০ বছর নির্ধারণ করেছি, যদিও ভারতে ৬০ বা তার ঊর্ধ্বে লোকদের ভ্যাকসিন দিচ্ছে। আমাদের কাছে প্রস্তাব এসেছে বয়সসীমা কমিয়ে আনার আমরা সেটা নিয়েও পরিকল্পনা করছি। তবে আমাদের যে বয়সসীমা দেওয়া তাতে ৪ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যদি বেশি ভ্যাকসিন আসে তাহলে বয়সের বিষয় চিন্তা করতে পারবো। আমাদের টার্গেট দ্বিতীয় ডোজ যেনো হাতে থাকে সেটা চিন্তা করেই কাজ করছি।’
বেসরকারি পর্যায়ে ভ্যাকসিন আনা হলে সেটা কীভাবে দেওয়া হবে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার যদি অনুমোদন দেয়। সেক্ষেত্রে কোন কোন কোম্পানি ভ্যাকসিন আনতে পারে সেটা তারা নিজ অর্থে কিনবে আর সেই ভ্যাকসিন যারা নেবেন তাদেরও নিজ অর্থে কিনতে হবে। এখানে সরকারের কোনো হাত নেই। তবে যে ভ্যাকসিনই আসুক সেটা ডব্লিউএইচও আমাদের ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন গাইড লাইন মেনে আনতে হবে।’
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা