সকাল ১০টায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হাইকমিশনার মো: শামীম আহসান, এনডিসি জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উদযাপনের কর্মসূচী শুরু করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী-র বাণী পাঠ শেষে বঙ্গবন্ধু, তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও উন্নয়ন অভিযাত্রা-র উপরে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
সংক্ষিপ্ত আলোচনাসভায় মো: শামীম আহসান তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সকল শহীদ ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিবিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। একই সাথে তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে বিদেশী বন্ধুদের ভূমিকার কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। আহসান বাংলাদেশ কিভাবে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত অবস্থা মোকাবেলা করে উন্নয়নশীল বিশ্বে গর্বিত ও ‘অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত’ হিসেবে গড়ে তুলেছে, তা তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব কিভাবে বাংলাদেশকে দেশে ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একটি নতুন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছে তা তিনি তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ তুলে ধরেন।হাইকমিশনার বলেন যে, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নের জন্যে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে এগিয়ে চলছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, ২০২১ সালে ব্যাপক উদ্দীপনার সাথে স্বাধীনতার ‘সুবর্ণ জয়ন্তী’ উদযাপন করা হবে। দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ শাহ ইকরামুল হক এর সঞ্চালনায় আলোচনা পর্বে মিশনের প্রথম সচিব বিদোষ চন্দ্র বর্মনও বক্তব্য রাখেন।
নাইজেরিয়াসহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব এবং জনমনে বিদ্যমান ভীতির কারণে শুধুমাত্র মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে ঘরোয়া পরিবেশে, স্বল্প পরিসরে অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়। একই কারণে, জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে পরিকল্পিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা