অনলাইন ডেস্ক
নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর নাম ওয়ালিদ নিহাদ। তিনি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওয়ালিদ নিহাদ। অভিযোগপত্রে তিনি বলেন, ‘রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১টার দিকে ছাত্রলীগ নেতা পলাশ আমাকে ডেকে সঙ্গে নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাকে থাপ্পড় মারে হিমেল। পরে সদ্য চালু হওয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ৩২৪নং কক্ষে ছাত্রলীগ নেতা তুহিনের কাছে নিয়ে যায়। আমি কেন ছাত্রলীগের গ্রুপভিত্তিক রাজনীতি করি না— এ অভিযোগে মূলত আমাকে ডাকা হয়। আমাকে নানাভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে আমার হাতে রামদা ধরানো হয়৷ খালেদা জিয়ার ছবি আমার ফেসবুকে আপলোড দেয়ানো হয়। আমার একটা ভিডিও ধারণ করে জোরপূর্বক বলানো হয়, ২০২৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। তারেক জিয়া দেশে ফিরবে। তখন ক্যাম্পাসে কোনো ছাত্রলীগের কুত্তা থাকবে না।’
নিহাদের সহপাঠীরা জানান, নিহাদকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার পিঠে, পায়ে ও মাথায় গুরুতর আঘাত করা হয়েছে। অত্যাচারের শিকার হয়ে নিহাদ বেশ কয়েকবার বমিও করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা তুহিন বলেন, ‘আমার কক্ষে রাত ১০টার দিকে সবাইকে ডেকে মুড়ি খাওয়ায়। পরে ১১টার দিকে সবাই চলে গেলে আমি ঘুমিয়ে যাই। সকালে উঠে শুনি নিহাদকে কে বা কারা মেরেছে। এ ঘটনায় আমাকে দায়ী করাটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা তপন কুমার সরকার বলেন, নিহাদ এখন হাসপাতালে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে আছে। বিশ্ববিদ্যালের প্রক্টর প্রফেসর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান বলেন, এ ঘটনার তদন্ত চলছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে, সহপাঠীকে ডেকে নিয়ে রাতভর নির্যাতনের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে আন্দোলন করছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে তারা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা