অনলাইন ডেস্ক
১৯৬০ সালে ৩০শে অক্টোবর আর্জেন্টিনার বুয়েনস আইরেসে জন্মগ্রহণ করেন ম্যারাডোনা। ভক্তদের কাছে ‘এল পিবে দে অরো’ (সোনালী বালক) ডাকনামে পরিচিত ম্যারাডোনা তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্স এবং নাপোলির হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন।
একক নৈপুণ্যে শিরোপা জেতা সহজ নয়, ১৯৮৬ বিশ্বকাপে সেটি করে দেখিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। নাপোলিকেও এনে দেন দুটি সিরি’আ ও একটি উয়েফা কাপ। গত বছর ৩৩ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে লিগ জেতে ক্লাবটি, প্রিয় ক্লাবের শিরোপা উদ্যাপনেও মধ্যমণি হয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মৃত্যুর পর তাঁর নামে নিজেদের স্টেডিয়ামের নামকরণ করে নাপোলি। এখন নিজেদের ইতিহাসের সেরা ফুটবলারের স্মৃতি ধরে রাখতে নতুন আরেকটি উদ্যোগ নিয়েছে তারা। পরিত্যক্ত হয়ে পড়া ক্লাবটির সাবেক ট্রেনিং গ্রাউন্ড সেন্ট্রো প্যারাদিসো কিনে সেটিকে পুনঃ সংস্কার করা হচ্ছে। এখানেই অনুশীলন সারতেন ম্যারাডোনা।
ক্যারিয়ারের শেষদিকে ম্যারাডোনা মাদকে আসক্তি নিয়ে সমস্যায় ছিলেন এবং ১৯৯১ সালে তার শরীরের মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়লে তাকে ১৫ মাসের জন্য নিষিদ্ধ করে দেয়া হয়। তার ৩৭তম জন্মদিনে ১৯৯৭ সালে তিনি পেশাদার ফুটবল থেকে অবসর নেন। সেসময় তিনি আর্জেন্টিনার বড় দল বোকা জুনিয়ার্সে খেলছিলেন।
ম্যারাডোনাকে গত ৫০ বছরে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় তারকাদের একজন বলে গণ্য করা হয়। বার্সেলোনা এবং নাপোলির মতো ক্লাবেও খেলেছেন। আর্জেন্টিনার হয়ে ৯১টি ম্যাচে তিনি ৩৪টি গোল করেন। আলবিসেলেস্তেদের হয়ে খেলেছেন চারটি বিশ্বকাপ।
খেলোয়াড়ি জীবন শেষে আরও একবার আর্জেন্টিনার হাল ধরেছিলেন ম্যারাডোনাকে। দেশের শিরোপা খরা ঘোচাতে ২০০৮ সালে ম্যারাডোনার কাঁধে জাতীয় দলের দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু খেলোয়াড়ি জীবনে সফল ম্যারাডোনা কোচ হিসেবে সফল হতে পারেননি। ২০১০ বিশ্বকাপে জার্মানির কাছে হেরে আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নেয়। ব্যর্থ বিশ্বকাপের পর আর্জেন্টিনার কোচের পদ থেকে অবসর নেন ম্যারাডোনা।
ফুটবলের ঈশ্বর তার আলোকিত উজ্জ্বল ক্যারিয়ারে বিশ্ব ফুটবল প্রেমীদের হৃদয়জুড়ে বেঁচে থাকবে চিরকাল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা