অনলাইন ডেস্ক
এ বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী। করোনাকালে নিয়ম মেনেই বছরভর নানা ছোটখাটো অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে উদযাপিত হচ্ছে ‘মুজিববর্ষ’। আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে আয়োজন করা হয়েছে বড় অনুষ্ঠানের।
মোদির সফরকালে দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত করতেই ড. এস জয়শংকর ঢাকায় যাচ্ছেন। ঢাকা সফরকালে তিনি বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনের বৈঠক করবেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর বৈঠক হতে পারে। ২৬ মার্চের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকায় এলে ২৭ মার্চ দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে পারে। এর আগে ২০২০এর ১৭ মার্চ দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ভারচুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত ১৬ ডিসেম্বর, বাংলাদেশের বিজয় দিবসেও প্রধানমন্ত্রী মোদির ঢাকা সফরের পরিকল্পনা ছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সেই সফর বাতিল করা হয়েছে।
মোদির সফরকে সামনে রেখে গত ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন দিল্লি সফর করেন। সেসময় ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গেও বৈঠক করেন তিনি। তার আগে ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা গত ১৮ আগস্ট ঢাকায় এসেছিলেন।
সেসময় বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। প্রায় বছর দুই আগে বিদেশমন্ত্রী জয়শংকর ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন। তারপর ২০২০র প্রথম দিক থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস থাবা বসানোয় একের পর এক বিদেশ সফর বাতিল হয়ে যায়।
বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রীদের। এবার সেসব কাটিয়ে ফের ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নতি ঘটাতে ঢাকায় আসছেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
জয়শঙ্কর বৃহস্পতিবার সকালে বিশেষ বিমানে ঢাকা আসবেন ও সন্ধ্যায় দিল্লি ফিরে যাবেন। জয়শঙ্করের সফর নিয়ে ঢাকায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের জানান, নরেন্দ্র মোদির সফরে আলোচ্য বিষয়গুলো চূড়ান্ত করতে জয়শঙ্কর ঢাকায় আসছেন।
কানেকটিভিটি, বাণিজ্য, আঞ্চলিক সহযোগিতা, করোনায় সৃষ্ট স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হবে। অমীমাংসিত ইস্যুগুলো, বিশেষ করে তিস্তা জলের বিষয়টি গুরুত্ব পাবে।
মোদির ঢাকা সফরকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় বিষয়ে আলোচনা ও সমঝোতা স্মারক সই হবে। এর আগে মোদির সফর সামনে রেখে ২৮ থেকে ৩১ জানুয়ারি বিদেশ সচিব মাসুদ বিন মোমেন দিল্লি সফর করেন।
সেই সময় ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। এর আগে ১৮ আগস্ট হর্ষবর্ধন ঢাকায় এসেছিলেন। সেই সময় মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তিনি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। গত বছর ১৭ ডিসেম্বর দুই প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নতুন একটি আন্তঃদেশীয় যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে। ২৬ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন উদ্বোধন করবেন ।
ঢাকা থেকে সরাসরি ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেলজংশন পর্যন্ত নীলফামারী জেলার চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটে এ ট্রেন চলাচল করবে। মঙ্গলবার ঢাকায় রেলপথ মন্ত্রকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী ২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঢাকা সফর করবেন।
সপ্তাহে কত দিন রেল চলবে, রেল ছাড়া ও পৌঁছানোর সময়, ভাড়া, ইমিগ্রেশন, রেলের নাম- এসব বিষয় উভয় দেশের রেল মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা