অনলাইন ডেস্ক
মৃত ভেবে পরিবার তার শেষকৃত্য করেছিল, পুত্রশোকে মারা গেছে তার বাবা। সাড়ে ৫ বছরের বন্দি জীবনের আতঙ্ক এখনও তাড়া করে ফিরছে মাইকেলকে। এ যেন কবর থেকে ফিরে আসা। প্রায় ২ হাজার দিন সূর্যের আলো দেখেননি মাইকেল চাকমা, তার সেসব দিন ছিল বিভীষিকাময়।
পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফ এর সংগঠক মাইকেল চাকমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টি কেটেছে অন্ধকার ঘরে বন্দি থেকে। ২০১৯ সালের ৭ই এপ্রিল রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে একদল সশস্ত্র লোক।
প্রায় সাড়ে ৫ বছর রাখা হয় অন্ধকার প্রকোষ্ঠে, যেটা পরে কুখ্যাত গোপন বন্দিশালা ‘আয়নাঘর’ নামে পরিচিতি পায়। আয়নাঘরের নির্মমতা কেড়ে নিয়েছে তাঁর চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি। মাইকেল জানান, ৫ই আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের কোনো খবর তাঁর জানা ছিল না। ৭ই আগস্ট গভীর রাতে তাঁর হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয়া হয় নির্জন জঙ্গলে।
বাড়ি ফিরেও দেখেন বদলে গেছে পরিচিত পরিবেশ। তাকে মৃত ভেবে পরিবার শেষকৃত্যও করে ফেলেছে। বাবার মৃত্যুসহ পান একের পর এক দুঃসংবাদ।
বন্দিদশার দুঃসহ স্মৃতি তাড়িয়ে বেড়ায় মাইকেলকে। আর কেউই যেন এমন নির্মম গুমের শিকার না হন তারও আকুতি জানিয়েছেন মাইকেল।
মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের পরিসংখ্যান বলছে, আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৯ জন। এ সময়ে গুম হন ৬৭৭ জন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা