অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। মুরাদ হাসানের এমপি পদের বৈধতা নিয়ে করা রিট শুনানিতে হাইকোর্ট বলেছেন, মুরাদ হাসানের এমপি পদ থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত জাতীয় সংসদের স্পিকার নেবেন। সংক্ষুব্ধ যে কোনো ব্যক্তি তার এমপি পদ থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে স্পিকারের কাছে আবেদন করতে পারেন।
এরপরই আদালত কোনো আদেশ না দিয়ে রিট আবেদনটি স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখেন। এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইউনুছ আলী আকন্দ। প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ডা. মো. মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ওই রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হয়। পরে তা গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। প্রকাশিত গেজেট বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। এ পদত্যাগ অবিলম্বে কার্যকর হবে।
মন্ত্রিত্ব হারানো ও দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ১০ ডিসেম্বর রাতে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ডা. মুরাদ কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। কিন্তু কানাডার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে সে দেশে ঢুকতে দেয়নি। দেশ ছাড়ার দুদিন গত রোববার (১২ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মুরাদ হাসানকে বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে থাকার পর অনেকটা গণমাধ্যমের চোখ ফাঁকি দিয়েই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সাধারণ যাত্রীদের গেট দিয়ে বের হয়ে যান ডা. মুরাদ।
নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর ও অশালীন বক্তব্য দেওয়ায় এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় সদ্য সাবেক এ তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আবেদন করা হচ্ছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা