শেখ মোঃ শিমুল
কুরবানীর কয়েকমাস আগেই দেশের বিভিন্ন অ ল হতে এনে পালতে শুরু করে এখানকার খামারীরা। উন্নত খাবার ও এর গাঁয়ের রঙ ধরে রাখতে বিশেষ পরিচর্যায় একটু বেশী যত্ন করে পালন করতে হয় এ গরু। তবে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি ও ন্যায্য দাম না পাওয়ায় অনেক খামারী এসব গরু পালনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন। গত বছর গোয়াল ভরা গরু থাকলেও দীর্ঘ বছরের বংশ পরমপরায় ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এবার দুটি গরু পালন করছে আনোয়ার হোসেন।
একসময় ঢাকার রহমতগঞ্জের গরুর হাটের চাহিদার শীর্ষে ছিলো মিরকাদিমের ঐতিহ্যবাহী সাদা গরু। এখনও রয়েছে এর বেশ কদর। ঐতিহ্য ধরে রাখতেই কেউ কেউ এখনও অল্প পরিশরে পালন করছেন এ গরু। অন্যসব গরুর তুলনায় উন্নত মানের খাবার ও বিশেষ যত্নের কারণে অর্থ ব্যয়ে হিমসিম খেতে হয় তাদের। অনেকে কমিয়ে দিলেও মিরকাদিমের গরুর ঐতিহ্য ও চাহিদা ধরে রাখতে গো খাদ্য ব্যবসায়ী মোঃ ইমন বেপারী শখের বসত ২ বছর ধরে শুরু করে এবার ২০টি গরু পালন করছেন। ভালো দাম পেলে আগামীতে আরো বড় পরিসরে খামার করার পরিকল্পনা রয়েছে তার। গো খাদ্যের দাম কমলে ও ন্যায্য দাম পেলে এ গরু পালনে অনেকে আগ্রহী হবে বলে তিনি মনে করেন।
খামারীদের অভিযোগের সাথে একমত হয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডঃ কুমুদ রঞ্জন মিত্র জানান, গরু মোটাতাজায় প্রাপ্ত দামের চেয়ে খরচ বেশী পড়ে যায়। আমরা যদি গরুকে ক্রিমিনাশক ঔষধ, ভেকসিন ও ইউরিয়া মোলাসাস খাওয়াই তাহলে অল্প খরচে গরু মোতাজা করা যায়। এতে গরুর কোন ক্ষতি হয় না। গরুর হাটের বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি বলেও তিনি আরো জানান।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা