অনলাইন ডেস্ক
মুন্সিগঞ্জের নদীপথে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম নৌযান ‘বাল্কহেড’। রাতে এই বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে প্রতিনিয়তই নৌপথে ছোট থেকে বড় দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। স্থানীয়দের প্রশ্ন, কোন ক্ষমতাবলে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে নদী দিয়ে বাল্কহেড চলে এবং কত প্রাণ গেলে বন্ধ হবে চলাচল?
নৌপথ নিরাপদ রাখার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ সহ বিভিন্ন সংস্থা। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে বন্ধ হচ্ছেনা বাল্কহেড নামের নৌযান চলাচল। এতে করে প্রতিবছর মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রাণ হারাচ্ছে মানুষ। গত ১০ মাসে বাল্কহেডের কারনে ৩টি বড় ধরনের নৌ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন। যার মধ্যে মেঘনায় ৬ জন, ডহরি-গৌরগঞ্জ খালে ৮ জন ও গত শনিবার পদ্মা নদীর হাসাইল এলাকায় শিশুসহ দুইজন মারা গেছেন।
প্রশাসনের অবহেলায় এসব দুর্ঘটনাকে হত্যাকান্ড বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
নৌ পুলিশের দাবি, রাতে যাত্রী চলাচলকারী নৌ রুটে বাল্কহেড চলাচল বন্ধে সার্বক্ষনিক তৎপর রয়েছে তাদের সদস্যরা।
তবে মালিক ও শ্রমিকদের সচেতনতার অভাব ও স্বেচ্ছাচারিতার কারণে আইন অমান্য করে রাতেও চলছে বাল্কহেড নামের নৌযানগুলো। ঘটছে দুর্ঘটনাও।