অনলাইন ডেস্ক
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গণভবন থেকে ভার্চুয়াল কনফারেন্সের মাধ্যমে ১৮ জেলার ৩১টি উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করে একথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর মধ্য দিয়ে আরও ৩১টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো। এর পাশাপাশি দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ছয়টি নতুন সঞ্চালন লাইনও উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি।’
তিনি আরও বলেছেন, সব জায়গায় যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সেজন্য সৌরবিদ্যুতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও যাতে বিদ্যুৎ পায়, সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ যা হয় তার চেয়ে কম দামে সরবরাহ করা হচ্ছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, ‘কম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। তাই গ্রাহকদের বলবো, অপচয় করবেন না। এতে আপনাদের বিদ্যুৎ বিলটাও কম আসবে। এটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।’
মানুষের আর্থিক সক্ষমতা বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সরকার ভর্তুকিসহ সব ধরনের সহযোগিতা করছে জানিয়ে তিনি আরও বলেছেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায়, গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না। জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালতে হতো। আমরা এমন কোন বৈষম্য করিনি। যে কারণে বগুড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র।’
এ সময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত হন। মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং ২৭টি জেলার জনপ্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
এর আগে ২৫৭টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এই ৩১টি উপজেলা উদ্বোধনের পর মোট ২৮৮টি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় এলো। এর ফলে দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করবে।
শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলাগুলো হচ্ছে − ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর, সরাইল, আশুগঞ্জ, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ ও কচুয়া, কুমিল্লা জেলার বরুড়া ও মুরাদগঞ্জ, ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা ও বোয়ালমারী, গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর এবং ঝিনাইদাহ জেলার সদর উপজেলা। মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ সদর, দৌলতপুর, সিঙ্গাইর, ও শিবালয়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর, নওগাঁ জেলার মান্দা, ধামরহাট, সাপাহার, নীলফামারি জেলার ডোমার, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ, রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর ও বালিয়াকান্দি, রাজশাহী জেলার বাঘমারা, সাতক্ষীরা জেলার সাতক্ষীরা, সিলেট জেলার জকিগঞ্জ এবং মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা