অনলাইন ডেস্ক
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি মো: সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের বৈঠকের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। এছাড়া পহেলা আগস্ট থেকে ৫ই আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং বিভিন্ন মামলায় আটকদের মুক্তি দেয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছে।
৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে কারাগারে যান তিনি। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আপিল করেন তিনি।
অন্যদিকে সাজা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে দুদক আবেদন করলে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাত বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই দুই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
কারাগারে যাওয়ার প্রায় দুই বছর পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। তখন সরকারের কাছে পরিবারের আবেদনের পর শর্তসাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি পান খালেদা জিয়া। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর আবেদনের পর মুক্তির মেয়াদ বাড়ায় সরকার। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে তিনজন লিভার বিশেষজ্ঞ এনে তাঁর লিভারে অস্ত্রোপচারও করা হয়। গত তিন বছরে পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে কয়েক দফা অনুমতি চাইলেও প্রতিবারই তা নাকচ করেছে সরকার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা