মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান খান অলি (সিদ্দিক মাস্টার )এর ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ১২ নভেম্বর । ১৯৭২ সালের এইদিনে তার কর্মস্থলে আততায়ীর হাতে নিহত হন তিনি। অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিকুর রহমান খান অলি ঢাকার অদূরে নবাবগঞ্জ বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজির শিক্ষক ছিলেন।
তার বোন সাংবাদিক দিলরুবা খান জানান, ছাত্রলীগের একনিষ্ঠকর্মী সিদ্দিক ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ৬ দফা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ৭ নভেম্বর তিনি অন্য নেতাকর্মীদের সাথে কারাবরণ করেন। পরবর্তী সময়ে তিনি জাসদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে ভারতে গিয়ে তিনি মুজিব বাহিনীতে প্রশিক্ষণ নেন এবং দেশের অভ্যন্তরে সাফল্যের সাথে বেশ কয়েকটি হানাদারবিরোধী অভিযানে নেতৃত্ব দেন। নবাবগঞ্জ, দোহার এবং কেরানীগঞ্জ এই তিন থানার কমাণ্ডার ছিলেন তিনি। মানিকগঞ্জের সিংগাইর থানার চারিগ্রামে জন্মগ্রহণকারী সিদ্দিক শুধু মানুষ গড়ার কারিগরই ছিলেননা । তিনি সুলেখক এবং নাট্যশিল্পীও ছিলেন । সুবক্তাও ছিলেন তিনি। সামাজিক কর্মী হিসেবেও তিনি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। মাঝিদের জীবনমাণ উন্নয়নে তিনি নবাবগঞ্জ এলাকায় বৈঠা সমিতি গঠণ করেছিলেন। দিলরুবা খান বলেন, আমার ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে আমি এবং আমার ভাই শাহেদুর রহমান খান ইমরোজ সবার কাছে দোয়া চাইছি।
তিনি বলেন, আমার ভাইএর মৃত্যুর সময় আমরা একেবারেই ছোট ছিলাম। ভাইয়ের অনেক তথ্যই আমাদের জানা নেই । এই তথ্যগুলো জেনেছিলাম অামার বোন ফরিদা আখতার খান (ফানুস)আপার কাছ থেকে। আমার এমনই দুর্ভাগ্য যে, আমার বোনও আজ আর আমাদের মাঝে নেই। ২০০৮ সালের ২০জুলাই মরনব্যধি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। সিদ্দিক ভাইয়ের মৃত্যুর পর আমার বোন ফানুস আপা সংসারের হাল ধরতে অর্থাৎ আমাকে ,ইমরোজকে ও আমার মাকে দেখাশোনার জন্য বিয়ের পিড়িতেও পা রাথেননি। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা হয়েও আমার ভাইয়ের মূল্যায়ন হয়নি। আমরাও পেলামনা একজন মুক্তিযোদ্ধার ভাই বোনের মর্যাদা। অথচ এই দেশে অকথিত মুক্তিযোদ্ধারা বহাল তবিয়তে আছেন । আর তাদের ভাই বোনেরাও আছে স্বদর্পে আর স্বদম্ভে ।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা