অনলাইন ডেস্ক
এদিকে মিয়ানমারে এখনও অব্যাহত রয়েছে বিক্ষোভ-আন্দোলন। সেই সঙ্গে চলছে সেনা-পুলিশের হত্যাযজ্ঞও। সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরত জনতার ওপর ক্রমাগতভাবে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ করছে জান্তা সরকার। শনিবার এক দিনেই ১১৪ বিক্ষোভকারীকে হত্যা করে পুলিশ। সোমবার নারী ও শিশুসহ ১৪ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত হত্যা করা হয়েছে ৫১০ জনকে।
সেনা-পুলিশের ধরপাকড় ও নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে বাঁচতে মিয়ানমারের বহু নাগরিক সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে। তাদের বেশিরভাগই সীমান্তবর্তী মিজোরাম ও মনিপুরে আশ্রয় নিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে একই চিত্র দেখা যাচ্ছে থাই সীমান্তেও।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের থাই সীমান্তবর্তী বিশাল এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে দেশটির নৃতাত্ত্বিক সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ)। চলতি সপ্তাহে ওই এলাকায় এক সেনা চৌকিতে হামলার পর দশজন নিহতের ঘটনায় গোষ্ঠীটির নিয়ন্ত্রিত গ্রামে বিমান হামলা চালায় ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার। ওই হামলার পর বহু মানুষ নিজেদের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন।
কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে, বিমান হামলার পর সালউইন নদী পেরিয়ে প্রায় তিন হাজার মানুষ থাইল্যান্ডে ঢুকে পড়েন। তবে দুই হাজার জনকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কারেন উইমেন অর্গানাইজেশন (কেডব্লিউও) জানিয়েছে, বিমান হামলার পর কারেন রাজ্যে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন প্রায় দশ হাজার মানুষ। এর মধ্যে তিন হাজারই সীমান্ত অতিক্রম করে থাইল্যান্ডে ঢুকে পড়েন। কিন্তু থাই কর্তৃপক্ষ তার পরপরই তাদের পুশব্যাক করেছে। অধিকার বিষয়ক কারেন ইনফরমেশন সেন্টার বলেছে, তাদের থাইল্যান্ড পুশব্যাক করার পর এখন জঙ্গলের ভেতর অবস্থান করছেন।
তবে থাইল্যান্ডের মায়ে হোন সোন প্রদেশের গভর্নর শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা অস্বীকার করেছে। থাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংরাট দাবি করেন, শুধু অনানুষ্ঠানিক সূত্রের ওপর ভিত্তি করে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর কথা বলা হচ্ছে। তবে সরকারি সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে কোনো শরণার্থীকেই ফেরত পাঠানো হয়নি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা