অনলাইন ডেস্ক
রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে ডেকে পাঠানো হয়। এ সময় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটির রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রাণালয়ের একটি সূত্রে জানায়, বাংলাদেশ-মায়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে গত শুক্রবার ভোর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে মায়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেছে বাংলাদেশ।
দুই দেশের সীমান্তের তিনটি পয়েন্টে মিয়ানমার সৈন্যদের উপস্থিতি দেখা গেছে। মাছ ধরার ট্রলারে করে সীমান্তের নিউন ছুয়াং, মিন গা লার গি ও গার খু ইয়া পয়েন্টে দেশটির সৈন্যরা জড়ো হতে থাকে।
বিনা উস্কানিতে এভাবে সীমান্তের কাছে নতুন করে সেনাসমাবেশের প্রতিবাদে ঢাকায় মায়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে সন্দেহজনক এসব তৎপরতা বন্ধ করে দুই দেশের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি অবসানের জন্য মায়ানমারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেছে বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মায়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেনের দপ্তরে সকালে রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করেন। শান্তিপূর্ণ সময়ে সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ দুই দেশের মধ্যে ভুলবোঝাবুঝি তৈরি হতে পারে বলে এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়।
২০১৭ সালের আগস্টে রাখাইনে গণহত্যা শুরুর আগে এভাবেই সেখানে সৈন্যদের জড়ো করেছিল মায়ানমার সেনাবাহিনী। ফলে ১১ তারিখ ভোরে শুরু হওয়া সেনাসমাবেশের কারণে রাখাইনে এখন যেসব রোহিঙ্গা রয়েছেন, তাদের মধ্যে নতুন করে ভীতি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ সীমান্তে হেলিকপ্টার অনুপ্রবেশের ঘটনা, নো ম্যানস ল্যান্ড এলাকায় মাইন পুতে রাখাসহ একাধিক ঘটনায় মায়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। প্রতিবারই তার হাতে কড়া নোট পাঠিয়ে এসব ঘটনার প্রতিবাদ করেছে বাংলাদেশ।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা