অনলাইন ডেস্ক
মার্চ মাস বাঙালি জাতির জন্য এক স্মরণীয় মাস বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার (১৯ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি হাজার বছর ধরে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম আবাসভূমি এনে দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘১৯৪৮ সালের এই মার্চ মাসের ১১ তারিখে তিনি মাতৃভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বপ্রথম কারাগারে অন্তরীণ হন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ পাকিস্তানি শাসকদের ভ্রুকুটি উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন – এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, জয় বাংলা। এর সপ্তাহ আড়াই পর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে ঘোষণা করেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা। সমগ্র জাতিকে নির্দেশ দেন প্রতিরোধ যুদ্ধের, মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা, রেসকোর্সের ঐতিহাসিক বক্তব্য ও ভাষা আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্বের ইতিহাস মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছে। তাঁর ভাষণ প্রচারে অলিখিত নিষেধাজ্ঞা ছিল। সত্যকে কখনো মুছে ফেলা যায় না, সেটা আবার প্রমাণিত হয়েছে। সবাইকে ধন্যবাদ জানাই, সবার সহযোগিতায় আজকে আমরা সেই সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে পারছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন উন্নত জীবন পায় সেটাই ছিল জাতির পিতার স্বপ্ন। তাই আসুন জাতির পিতার ১০১ জন্মদিনে আমরা সেই প্রতিজ্ঞা নিই, যেনো জাতির পিতা যে স্বপ্ন দেখেছেন আমরা সেটা পূরণ করবো। বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক চেতানার দেশ।’
এ সময় দেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের বাংলাদেশ উন্নয়শীল দেশ হিসেব উন্নীত হতে পেরেছি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমরা চাই বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত জাতির পিতার সোনার বাংলা হয়ে উঠুক।’
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে।‘মুজিব চিরন্তন’দশ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আজকের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউস এবং তিন বাহিনীর প্রধান উপস্থিত আছেন।