ভারতের দিল্লীতে হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের নাগরিকত্ব আইন সিএএ, এনপিআর ও এনআরসি’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের উপর বিজেপি’র সন্ত্রাসী হামলায় প্রায় অর্ধশতাধিক নিহত, পাঁচ শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টায় রাজু ভাস্কর্য চত্বরে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সভাপতি ছাত্রনেতা আল কাদেরী জয় এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স, সাঙ্গঠনিক সম্পাদক রোখসানা আফরোজ আশা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাখার সদস্য সোহাইল শুভ।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারতে হিন্দুত্ববাদী মোদি সরকারের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর এর বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বিক্ষোভকারীদের উপর নৃসংস হামলার প্রতিবাদে ২৯ ফেব্রুয়ারি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। প্রতিবাদ মিছিলটি ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে রাজু ভাস্কর্যে সামনে সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সোহাইল আহমেদ শুভর সঞ্চালনায় ও কেন্দ্রীয় সভাপতি আল কাদেরী জয়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক রুখসানা আফরোজ আশা।
সমাবেশে বক্তারা ভারতে মোদী সরকারের হিন্দুতবাদী নীতির বিরুদ্ধে ভারতীয় জনগণের লড়াইয়ের সাথে সংহতি ও এবং সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে সংঘটিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান, একই সাথে তারা বলেন ভারতে সংখ্যালঘুদের উপর এই ন্যাক্কারজনক হামলা মোদী সরকারের নড়েবরে গদি টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই, এটিকে কাজে লাগিয়ে কোনো ভাবেই যেন বাংলাদেশেও শাসক শ্রেনী সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে জনগনকে বিভক্ত করে ফায়দা লোটার সুযোগ না পায় সে বিষয়ে ছাত্র জনতাকে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন। সেই সাথে তথাকথিত মুজিব বর্ষ উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির আগমন ঠেকিয়ে দেয়ার ঘোষণা দেন।
বক্তব্যে আল কাদেরী জয় বলেন, ভারত তিস্তাসহ ৫৪টি নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করছে, বার বার ওয়াদা করেও পানি বণ্টন চুক্তি সম্পাদন করছে না। বন্ধু রাষ্ট্র দাবি করে বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রেখেছে। সীমান্তে মারণাস্ত্র ব্যবহার করবে না এমন চুক্তির পরও প্রতিনিয়ত ভারতীয় বিএসএফ সীমান্তে বাংলাদেশী নাগরিক হত্যা করে চলেছে। ফেলানী হত্যার বিচার দীর্ঘ ৯ বছর ধরে ঝুলে রয়েছে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি দূর না করে প্রতিনিয়ত তা বাড়িয়ে চলেছে। উপরন্তু সম্প্রতি নাগরিকত্ব আইন করে নাগরিক পঞ্জির মাধ্যমে নিজ দেশে হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টি করে দাঙ্গা পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে এবং বাংগালী মুসলিম ও হিন্দুদেরকে বাংলাদেশে পুশ ব্যাক করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এই মোদি সরকার। মায়ানমারের রোহিঙ্গা সমস্যায়ও কথিত বন্ধু ভারত সরকার বাংলাদেশের পাশে না দাঁড়িয়ে মায়ানমারের পক্ষাবলম্বন করছে। এহেন হিন্দুত্ববাদী ফ্যাসিস্ট গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার বুচার অফ গুজরাট বলে স্বীকৃত খুনী নরেন্দ্র মোদিকে কোন মতেই ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দেশের অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রমনা জনগণ এদেশে দেখতে চায় না।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা