বাংলাদেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ মাদ্রাসা-শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছেন। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সাধারন ধারায় শিক্ষিতদের মতো মাদ্রাসা-শিক্ষিত যুব সমাজও বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব চ্যালেঞ্জের মাঝে অন্যতম হলো, সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং কর্মসংস্থান উপযোগী পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও দক্ষতার অভাব। কর্মসংস্থান নিয়ে দেশের মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা কী ভাবছেন এবং সংশ্লিষ্ট চ্যালেঞ্জ সমাধানে তাদের প্রত্যাশা কী, তা জানতে Centre for Policy Dialogue (CPD) ২৬ অক্টোবর ২০১৯ শনিবার একটি কর্মশালার আয়োজন করে।
“যুব কর্মসংস্থান ও সরকারি পরিষেবার কার্যকারিতা: মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা” শীর্ষক এ কর্মশালাটি ঢাকার গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় অনুষ্ঠিত হয়। সিপিডি এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশন-বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগে এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম, বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় এই কর্মশালাটি আয়োজিত হয়।
এ কর্মশালায় দেশের আলিয়া ও কওমি ধারার বিভিন্ন মাদ্রাসার ফাজিল, কামিল, মিশকাত ও দাওরায়ে হাদীস পর্যায়ের শিক্ষার্থীগণ অংশগ্রহণ করেন এবং মাদ্রাসা-শিক্ষিত যুব সমাজের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে তাদের মতামত তুলে ধরেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উর্দু বিভাগের অধ্যাপক ড. Mohammad Golam Rabbani এবং আরবী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, আহছানিয়া ইন্সটিটিউট অফ সুফিজম-এর সহকারী অধ্যাপক মাওলানা Shaikh Muhammad Usman Gonee মোহাম্মাদপুর থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ, গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এ অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গাউছিয়া ইসলামিয়া ফাযিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফতি মাওলানা মুহাম্মদ এজহারুল হক স্বাগত বক্তব্য এবং দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোহাম্মাদ জাকারিয়া শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন। সিপিডি’র সম্মানীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এবং সিপিডি’র গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।
============================ কওমি মাদ্রাসার দাওরায়ে হাদিসকে ২০১৭ সালের ১১ এপ্রিল সরকার মাস্টার্সের সমমান স্বীকৃতি দিলেও এখনো পর্যন্ত কার্যকর তেমন কিছু আসলে করা হয়নি! যে পরিমাণ প্রচার-প্রচারণা দেখানো হয় বাস্তবে সেটা নেই বললেই চলে…
১. কওমি সনদ দিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য বিদেশ গমন করা যায় না। ২. সরকারি পরিষেবা থেকে কওমি পড়ুয়াদের বঞ্চিত করা হয়। (অভিজ্ঞতা)
৩. বাধ্য হয়ে জেনারেল শিক্ষার অন্য সার্টিফিকেট অর্জন করে মাদ্রাসাপড়ুয়ারা। ৪. উচ্চ আয়ের পথ এখনো অবারিত হয়নি মাদ্রাসাশিক্ষার্থীদের জন্য।
৫. কর্মক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হতে হয়। ৬. কর্মমুখী শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করা প্রয়োজন।
৭. স্কুল-কলেজে ধর্মীয় শিক্ষক পদে কর্মসংস্থান হতে পারে। ৮. ফ্যামিলি ল’তে মুফতিদের পদায়ন করা যেতে পারে।
৯. আধুনিক আরবি, ইংরেজি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিপুল সম্ভাবনা। ১০. সমাজের মূলধারার সাথে দূরত্ব থাকায় ব্যাহত হচ্ছে জাতীয় উন্নয়ন।
আমীন মুন্সীর ফেসবুক থেকে।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা