অনলাইন ডেস্ক
মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারের মহেশখালীতে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ। এরইমধ্যে ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল তৈরি হয়ে গেছে। বন্দররক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজও শেষ। বন্দরের মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজ আগামী জুন মাসে শুরু হবে। বন্দর সংশ্লিষ্টরা জানান, আগামী দিনে দেশের বাণিজ্যখাতে নতুন স্বপ্নের দুয়ার খুলবে মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর। পণ্য পরিবহণে সময় ও ব্যয় দুটোই কমবে।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে নীল জলরাশির মাঝে এই কর্মযজ্ঞ মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণকে কেন্দ্র করে। বিশ্বের বড় বড় জাহাজ বা মাদার ভেসেল ভেড়ার উপযোগী গভীর ও সুপরিসর চ্যানেল এবং আধুনিক অবকাঠামো তৈরি হচ্ছে মাতারবাড়ীতে।
জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা- জাইকার অর্থায়নে সাগরে ১৪ দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেল তৈরির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। ২৫০ মিটার গভীর চ্যানেলকে বৃদ্ধি করে ৩৫০ মিটার গভীর করা হচ্ছে। ড্রেজিংয়ের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে বন্দরকে রক্ষার জন্য তৈরি করা হয়েছে ঢেউপ্রতিরোধী বাঁধ।
এখন মূল অবকাঠামো নির্মাণ শুরুর অপেক্ষা। আগামী জুনেই এই কাজ শুরু হওয়ার কথা। দেশের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে খুশি চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের সভাপতি এস এম আবু তৈয়ব ও বিজিএমইএ পরিচালক অঞ্জন শেখর দাসসহ ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ১৭ হাজার সাতশ’ কোটি টাকা ব্যয়ে এই গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৬ সালের ডিসেম্বরে। এই বন্দর চালু হলে কোথাও ট্রানিজট ছাড়াই ইউরোপ আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন বন্দরে সরাসরি পণ্য পরিবহন করা যাবে বলে জানালেন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃ পক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।
স¤প্রতি বন্দর নির্মাণের কার্যক্রম ঘূরে দেখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি জানান মাতারবাড়ি বন্দর ঘিরে স্মার্ট টাউন, সড়কসহ একগুচ্ছ উন্নয়ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরকে সরকার এ অঞ্চলের বাণিজ্যের হাব করতে চায় বলে জানান তিনি।