অনলাইন ডেস্ক
অবশিষ্ট ২টি মৃতদেহ, ২টি অপূর্ণাঙ্গ মৃতদেহ এবং ৫টি দেহাংশ নিয়ে শুরু হয় ফরেনসিক বিশ্লেষণ। ২২ জুলাই, সিআইডির ফরেনসিক টিম ঘটনাস্থল ও সিএমএইচ থেকে মোট ১৪টি নমুনা সংগ্রহ করে এবং পরিবারের পক্ষ থেকে নেয় ১১টি রেফারেন্স নমুনা। বিশ্লেষণ শেষে জানা যায়, যে বডিব্যাগটিতে ৫টি বিচ্ছিন্ন দেহাংশ ছিল, সেগুলো দুইজন শিক্ষার্থী- লামিয়া আক্তার সোনিয়া ও আফসানা আক্তার প্রিয়ার দেহের অংশবিশেষ। ফলে সেগুলো পৃথক পাঁচজন নয়, বরং দুটি মৃতদেহ হিসেবেই গণ্য হয়।
এই ফলাফলের ভিত্তিতে সিএমএইচে সংরক্ষিত মৃতদেহের প্রকৃত সংখ্যা দাঁড়ায় ৫টি। এদের সঙ্গে আগেই হস্তান্তর হওয়া ৯টি মৃতদেহ মিলিয়ে চূড়ান্ত সংখ্যা দাঁড়ায় ১৪, যা ২৭ জুলাইয়ের হালনাগাদ তালিকায় প্রতিফলিত হয়। স্বাস্থ্য অধিদফতর এক চিঠির মাধ্যমে এই সংশোধিত তথ্য নিশ্চিত করে।
এদিকে সর্বশেষ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১২ জন ভুক্তভোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ৭৮ জন আহত হয়ে ভর্তি ছিলেন এবং ৩৪ জন মারা গেছেন।
বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত ও আহতদের সংখ্যা নিম্নরূপ
• জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট : ৬৬ জন ভর্তি, ১৭ জন মৃত্যু
• সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) : ১১ জন ভর্তি, ১৪ জন মৃত্যু
• ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল : ১ জন ভর্তি
• টঙ্গী জেনারেল হাসপাতাল : ১ জন মৃত্যু (অজ্ঞাত)
• ইউনাইটেড হাসপাতাল : ১ জন মৃত্যু
• জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল : ১ জন মৃত্যু
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুরুতে প্রাপ্ত দেহাবশেষগুলো আলাদাভাবে মৃতদেহ হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ডিএনএ বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, কিছু অংশ একই ব্যক্তির। এতে মৃতের সংখ্যায় পার্থক্য এসেছে।
প্রসঙ্গত, বিমান দুর্ঘটনার ভয়াবহতা, দেহাবশেষের অপ্রতুলতা এবং স্বজনদের মানসিক পরিস্থিতি- সবমিলিয়ে এই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা নিরূপণে সময় লেগেছে। তবে ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, দুর্ঘটনায় মোট ৩৪ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে সিএমএইচে মৃত্যুর সংখ্যা এখন ১৪।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা