মর্মান্তিক!

মর্মান্তিক!

সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় ক্ষতবিক্ষত এক শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। তার শরীর এমনভাবে ক্ষতবিক্ষত করা হয়েছে যে এটি যে কোন ধরণের নৃশংসতাকে ছাড়িয়ে গেছে।

তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে তার শরীর থেকে কেটে নেয়া হয়েছে বেশ কিছু অঙ্গ। এমন পরিস্থিতি দেখে এলাকাবাসী এবং পুলিশও শিউরে উঠেছে।

নির্মম এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায়। সোমবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের গচিয়া কেজাউড়া গ্রাম থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত তুহিন একই এলাকার বছির মিয়ার ছেলে।

তুহিনের স্বজনরা জানান, রবিবার রাতে প্রতিদিনের মতো খাবার খেয়ে পরিবারের সবাই ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে শিশু তুহিন প্রকৃতির ডাকে উঠলে তার মা বাহিরে নিয়ে যান। এর পর তাকে এনে আবার ঘুম পাড়িয়ে দেন।

রাত ৩টার দিকে মা-বাবা হঠাৎ দরজা খোলার শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে দেখেন তুহিন ঘরে নেই। এরপর পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে বাড়ির পাশে রক্ত দেখেন। এর পর কিছু দূরে সুফিয়ান মোল্লার উঠানে মসজিদের পাশে গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তুহিনের গলাকাটা মরদেহ দেখতে পান।

দিরাই থানার এসআই তাহের জানান, কে বা কারা, কী কারণে এ শিশুটিকে হত্যা করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।