অনলাইন ডেস্ক
রোববার (১১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
উপাচার্য বলেন, এমন মহৎ কাজে যারা নিজেকে উৎসর্গ করেছেন, যারা অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন এবং হচ্ছেন সত্যিই তাদের মৃত্যু নাই, তারা মরেও অমর, তাদের ক্ষয় নাই। যারা মরণোত্তর দেহ দান করেছেন বা করবেন অবশ্যই তাদের এই দান সদকায়ে জারিয়া হিসেবে গণ্য হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মরণোত্তর দেহদানে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ, আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। একইসঙ্গে ব্রেন ডেথ রোগীর অঙ্গদানের মাধ্যমে সফলভাবে ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম সম্পন্ন করায় দেশে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে যোগ হয়েছে নতুন মাইলফলক।
তিনি বলেন, অঙ্গদানের মাধ্যমে অন্যকে জীবন দান যেন সমগ্র মানবজাতিকে জীবন দানের মতো, সমগ্র পৃথিবীকে জীবন দানের মতোই বিশাল ও উত্তম কর্ম। যারা এমন মহৎ কাজে যুক্ত হয়েছেন তাদের শ্রদ্ধা জানাই। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চিকিৎসা দেওয়া হবে এবং তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ফান্ড সংগ্রহের উদ্যোগ নেওয়া হবে। একইসঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে বোনম্যারো ট্রান্সপ্ল্যান্ট কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে, রোবটিক সার্জারি চালু করা হবে। রোগীদের জন্য প্রয়োজনে নতুন নতুন যা যা দরকার তা নিশ্চিত করা হবে।
মরণোত্তর দেহ দানকারী প্রীতিতি দেবীর মেয়ে সংসদ সদস্য আরমা দত্ত বলেন, আমার মায়ের মতো আমিও মরণোত্তর দেহ দানের অঙ্গীকার করছি। তবে বাংলাদেশে এ ধরনের অনুষ্ঠান এই প্রথম ও বিরল। মরণোত্তর দেহ দানের মহৎ বিষয়টি যেমন গর্বের তেমনি একটি মহৎ স্থানে নিজেকে পৌঁছানোর বিরাট সুযোগ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা সত্যিই প্রেরণাদায়ক ও এক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিরাট অবদান রাখবে।
এসময় মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সজল কৃষ্ণ ব্যানার্জী বলেন, মৃত্যুর পরও যদি এ নশ্বর দেহ গবেষণা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমে লাগে, যদি নিজের চোখের কর্ণিয়া দান করে অন্যকে পৃথিবীর আলো দেখানো সম্ভব হয়, সত্যিই তা পরম উৎকৃষ্ট বিষয়।
এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আঞ্জুমান বানুর সভাপতিত্বে সহকারী অধ্যাপক ডা. শারমিন আক্তার সুমি অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে এনাটমি বিভাগের রেসিডেন্ট ছাত্রছাত্রীরা ‘আলো আমার আলো ওগো আলোয় ভুবন ভরা’ সংগীত পরিবেশন করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার ডা. স্বপন কুমার তপাদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা