অনলাইন ডেস্ক
ভয়াবহ এই ভূ-কম্পনের পর মরক্কোর বেশ কয়েকটি অঞ্চলের গ্রামবাসী সোমবার (১১ই সেপ্টেম্বর) টানা চতুর্থ রাত ঘরের বাইরে কাটিয়েছেন বলে খবর এসেছে। খবর এনডিটিভি, এএফপির।
তবে সময় যতই যাচ্ছে জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ততই কমছে। এরইমধ্যে ২ হাজার ৬০০ জনের প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। আহত হয়েছে আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে বিধ্বস্ত রাস্তাঘাট এবং দুর্গম পাহাড়ি এলাকার কারণে প্রান্তিক এলাকায় পৌঁছাতে পারেনি উদ্ধারকর্মীরা।
প্রতিদিনের মতোই গত শুক্রবার রাতেও ঘুমিয়ে পড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো মরক্কোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ঐতিহাসিক পর্যটন নগরী মারাকেশ এর বাসিন্দারা। কিন্তু রাত পোহানোর আগেই তাদের ভাগ্যে কী ঘটতে চলেছে তা ছিলো সবার অজানা। ভোরের আলো না ফুটতেই শান্তির ঘুম যেনো পরিণত হয় শেষ ঘুমে।
আগের দিনেও শহরটির অলিতে-গলিতে চলছিল পর্যটকদের আনাগোনা। পাহাড় ঘেষেঁ যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল ভবনগুলো, শুক্রবার রাতের ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানার পর তা এখন মৃত্যুপুরি। দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বেশ কিছু গ্রাম পুরোপুরি মাটিতে মিশে গেছে। ভেঙে গুড়িয়ে যাওয়া ভবনের ধ্বংস্তুপে একের পর এক মৃতদেহ দেখে স্বজনহারার কান্নার রোলে ভারী সেখানকার পরিবেশ। কোনো পরিবারের বেশিরভাগ সদস্যই একরাতের মধ্যেই নাই হয়ে গেলে। জীবিতরাও জানতে পারছে না কী ঘটেছে পরিবারের বাকী সদস্যদের ভাগ্যে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, মারাকেশ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরের পাহাড়ি গ্রাম তাফেঘাঘতে প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। হাতে গোনা কয়েকটি ভবন এখনো দাঁড়িয়ে আছে। গ্রামটির মোট ২০০ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা