অনলাইন ডেস্ক
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘গ্রামীণের আবেদন বাস্তবসম্মত এবং আমরা মনে করি এই পরিস্থিতিতে এটি কমিয়ে দেয়া যেতে পারে।’
‘আশাকরছি অর্থমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রণালয়কে কনভিন্স করাতে পারবো এবং এদেরটা (জিপি) প্রাকটিক্যাল’ বলছিলেন মন্ত্রী।
যদিও কোন ব্যান্ডের কত স্পেকট্রাম, কতটুকু ছাড় এ বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনো প্রস্তাব তৈরি হয়নি।
করোনার কারণে ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় মানসম্মত সেবা ঠিক রাখতে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বাড়তি এই স্পেকট্রাম চাইছে জিপি। টেলিযোগাযোগ বিভাগ ‘করোনা পরিস্থিতিকে’ গুরুত্ব দিচ্ছে।
মন্ত্রী বলছেন, জাতীয় স্বার্থ ও জনগণের সেবার জন্য ইকোসিস্টেমে সর্বোচ্চ সহযোগিতা অব্যাহত রাখছেন তারা। অন্যদিকে একই পরিস্থিতির কারণে বিনামূল্যে স্পেকট্রাম চেয়ে অন্য তিন অপারেটরের যৌথ আবেদনকে বাস্তবসম্মত মনে করছে না টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এ আবেদন নাকচ করে দেয়া হয়েছে। সেখানে গ্রামীণফোন এই তিন অপারেটরের সঙ্গে যুক্ত হয়নি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের ২১ মেগাহার্জের মতো স্পেকট্রাম আছে যেটা আমরা দিতে পারবো। এই স্পেকট্রামটা ইনফ্যাক্ট আমরা যখন নিলাম করি তখন বলেছিলাম কেউ বাল্ক কিনতে চায় তাহলে প্রাইস কমিয়ে দেয়া হবে। এটার একটা সময় ছিল। ওই সময়সীমা পেরিয়ে গেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘ওই সময়ে কিন্তু কেনো টেলকো এসে স্পেকট্রাম কিনতে চায়নি। প্রথমত যেটা ফ্রি চাওয়া হয়েছে সেটা ফিজিবল না। ফিজিবল না এই অর্থে এখন যদি আমি তাকে ফ্রি স্পেকট্রাম দেইও, যাবতীয় সরঞ্জামাদি ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে যখন কাজে যাবে তখন প্রায় তিন মাসের মতো সময় লেগেই যাবে।
তারমধ্যে আবার ইমপোর্ট বন্ধ আছে। ফলে বাইরে হতে যন্ত্রপাতি এনে ওই স্পেকট্রাম উল্লেখিত সময়ে ইউজ করার মতো অবস্থা থাকবে না।’ ‘ফলে ফ্রি দেয়ার অপশনটা মোটেই চিন্তাভাবনা করছি না। কারণ আলটিমেটলি দেখা যাবে দিন গুনবে আর তিন মাস চলে গেছে’ বলছিলেন তিনি।
বরং গ্রামীণ যেটা বলেছে সেটা অনেক বেশি প্রাকটিক্যাল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমরা আগের অবস্থান ঠিক রেখেছি। কেউ যদি আমাদের এক-দুই মেগাহার্জের কথা বলে সেখানে কোনো জায়গা নেই কিন্তু যদি কেউ যদি বাল্ক মানে ১০ মেগাহার্জ বা ৫ মেগাহার্জ নেয়ার কথা বলে তাহলে আমরা চিন্তভাবনা করতে পারি।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমাদের দিক হতে প্রস্তাবের যে দিকটি খুব প্রাকটিক্যাল এবং যে বিষয়গুলো মনে করবো করা দরকার, সেটি কেয়ার করবো।’ ‘আমাদের সমস্যা হলো, দাম কমাতে গেলে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে’ উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী নিজে এই বিষয়টি নিয়ে চেষ্টা করার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি ভেবেছিলেন ছুটি না বাড়লে এই সময়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বসে পুরো বিষয়টি আলোচনা করবেন। এরমধ্যে আইএসপি, আইআইজিসহ অনেক খাতেরই বিষয় রয়েছে-যেগুলো সবই অর্থমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত।’
‘আর অর্থ সম্পর্কিত কোনো ইস্যু কোথাও যদি কোনো ছাড় দিতে হয় তাহলে অর্থমন্ত্রণালয়ের অনুমোদন লাগবে। আমি সে অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। আসলে ফাইল প্রসেস করতেও তো অর্থমন্ত্রণালয় পুরোপুরি খোলা থাকতে হবে’ বলছিলেন তিনি।
অবশিষ্ট স্পেকট্রাম নিলামের পরিকল্পনা এমনিতেই রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী জানান, ৫জির জন্য স্পেকট্রাম নিলামের প্রস্তুতি তো আছেই।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা