অনলাইন ডেস্ক
লেবাননের দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্তে চলছে ইসরায়েলের তুমুল হামলা। সোমবার (২২ জানুয়ারি) লেইদা ও ইতারুন পার্বত্য অঞ্চলে তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলি পদাতিক বাহিনী। অন্যদিকে, বিমান হামলা চলে মাজদাল সালেম এলাকায়। নেতানিয়াহু প্রশাসনের দাবি, এই তিন এলাকায় রয়েছে হিজবুল্লাহর গোপন ঘাঁটি। খবর আল জাজিরার।
৭ অক্টোবর হামাসের অভিযানের পর গাজাই ছিলো ইসরায়েলি আগ্রাসনের কেন্দ্র। পাশাপাশি লেবানিজ সীমান্তেও চলে সংঘাত। এবার তেল আবিববের হুমকি, গাজার আদলে প্রতিবেশী দেশটিতে শুরু হবে যুদ্ধ। এরইমধ্যে সীমানা ঘিরে বাড়তি সেনা সমাবেশ ঘটানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্থলাভিযানই হবে মূল রণকৌশল।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, যারাই ইসরায়েলের ক্ষতি করতে আসবে, রুখে দাঁড়াব। আমরা সব ফ্রন্টেই লড়াইয়ের ঘোষণা দিচ্ছি। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও চলবে যুদ্ধ। একই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার ক্ষেত্রেও। কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
অবশ্য দমে যেতে নারাজ লেবাননও। জোরপূূর্বক লড়াইয়ে বৈরুতকে টানা হচ্ছে, এমন অভিযোগ দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদাল্লাহ হাবিবের। হামাসের তুলনায় হিজবু্ল্লাহর সক্ষমতা বেশি, এমন কথাও বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাবিব বলেন, লেবাননকে জোর করে যুদ্ধে ঠেলে দেয়া হয়েছে। হিজবুল্লাহ হামাসের মতো নয়। সক্ষমতা অনেক বেশি। ইসরায়েল যদি লেবাননের ভূখণ্ডকে আরেকটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করতে চায়, তাহলে সেটা ছেলেখেলা নয়। এই সংঘাতে ক্ষতি সবার। তাই লেবাননে সংঘাত ছড়ানো থামাতে হামাসের সাথে সমঝোতার কোনো বিকল্প নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।