অনলাইন ডেস্ক
শারদীয় দুর্গোৎসবের বাদ্য বাজলো বলে। মহালয়ায় দেবীর আবাহন শেষে মণ্ডপে মণ্ডপে এখন অপেক্ষা। দুর্গা আসছেন মর্ত্যলোকে। দম ফেলার অবসর নেই প্রতিমা শিল্পী আর আয়োজকদের। রঙতুলির আঁচড় শেষে প্রতিমা মণ্ডপে নেয়ার অপেক্ষা। বাজবে ঢাকের বাদ্য। আর, উৎসবের দিনগুলোকে নির্বিঘ্ন রাখতে প্রস্তুতি সেরেছে প্রশাসনও। শরতের কাশের দোলায় আর মেঘের ভেলায় বাজছে উৎসবের সুর। শারদীয় দুর্গোৎসবের শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি চলছে দেশজুড়ে।
মৌলভীবাজারে এ বছর সার্বজনীন ও ব্যক্তিগত মিলিয়ে ১ হাজার ৭টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিমা নির্মাণ এখন শেষের পথে, মণ্ডপে নেয়ার অপেক্ষা। পূজা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে প্রস্তুতি।
দিনাজপুরে বরাবরই বিপুল আয়োজনে উদযাপিত হয় শারদীয় দুর্গোৎসব। করোনার কারণে গেলো দু’বছর সীমিত আকারে অনুষ্ঠিত হলেও এবারে আগের রূপে ফিরছে আয়োজন। জেলার ঐতিহ্য ধরে রেখে এবারে বর্ণিল দুর্গোৎসব হবে বলে আশাবাদী আয়োজকরা।
করোনার কারণে মাদারীপুরে গত দু’বছর সাদামাটা আয়োজনে দুর্গাপূজা হয়েছে। তবে এবারে উদ্দীপনার কমতি নেই। সাধ্যমতো চলছে মণ্ডপ তৈরির কাজ। নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন তোরণ। দেবী দুর্গার আগমনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ সিরাজগঞ্জে। প্রতিমা শিল্পীরা খুব ব্যস্ত শেষ মুহুর্তের কারুকাজে। আয়োজকরা আশা করছেন উৎসব আনন্দময় হবে।
দেশে সবচেয়ে বেশি প্রতিমা দিয়ে দুর্গাপূজা আয়োজনের জন্য আলোচিত জেলা বাগেরহাট। সদরের হাকিমপুরে শিকদার বাড়িতে পূজা হতো অর্ধ সহস্রেরও বেশি প্রতিমায়। কিন্তু করোনার কারণে দু’বছর ধরে বড় পরিসরে হচ্ছে না। এবারও তাই। তবে জেলার সর্বত্রই চলছে দুর্গা পূজার বর্ণিল আয়োজন।
পটুয়াখালী জেলায় পূজা হবে ১৯০টি মণ্ডপে। নানা রূপে সেজে উঠছে মন্দির, মণ্ডপ ও এর আশপাশ। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সব মণ্ডপে থাকছে সিসি ক্যামেরা। থাকবে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারী। শারদীয় দুর্গোৎসব সার্বজনীনতায় ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হবে। পূজার দিনগুলো হয়ে উঠবে রঙিন, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।