অল্পের জন্য বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে গেলেন ওমানগামী বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফুটবলাররা।
রোববার রাতে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের ম্যাচ খেলতে ওমান যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিলে এ ঘটনা ঘটে।
তবে সৌভাগ্যক্রমে কোনো রকম অঘটন ছাড়াই প্রাণে রক্ষা পান লাল-সবুজ জার্সির ফুটবলাররা।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল দলের মিডিয়া অফিসার আহসান আহমেদ অমিত জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় দলের ফুটবলারদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওমানের উদ্দেশে আকাশে ডানা মেলে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট (বিজি-০০২১)। প্রায় এক ঘণ্টা ওড়ার পর ধুপ করে একটি শব্দ হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে বিমানের ভেতরের বাতি বন্ধ হয়ে যায় এবং এসিও কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
এতে বিমানের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ককপিট থেকে পাইলটের আওয়াজ শোনা যায়, দুঃখিত, বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। আমরা আবার ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। সবাইকে আতঙ্কিত না হতে অনুরোধ করা যাচ্ছে।
আহসান আহমেদ অমিত জানান, পাইলটের এ ঘোষণার পর পরই আতঙ্ক আরও বেড়ে যায় বিমানে। ফুটবলাররা ভয় পেয়ে যান। তারা প্রায় সবাই দোয়া-দরুদ পড়তে থাকেন। বিমানের সাধারণ যাত্রীদের কয়েকজনকে ছোটাছুটিসহ কাঁদতে দেখা যায়। এ সময় পুরো পরিস্থিতি কেমন ছিল তা ভাবলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে।
রাত দেড়টার দিকে বিমানটি আবার হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণ করে বলে জানান আহসান অমিত।
তিনি বলেন, স্রষ্টার অশেষ কৃপায় কোনো রকম অঘটন ছাড়াই জাতীয় দলের ফুটবলাররা ঢাকায় ফিরতে পেরেছে। অবতরণের পর ফুটবলারদের উত্তরার প্লাটিনাম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, এমন ঘটনায় জাতীয় দলের ফুটবলাররা মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত হলেও তারা সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ১০টায় ভিন্ন আরেকটি ফ্লাইটে জাতীয় দলের ফুটবলারদের ওমানে যাওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ নভেম্বর ওমানের আল সিব স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচ খেলবে জেমি ডের শিষ্যরা।সেখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই এত আগে ওমান যাওয়া বাংলাদেশের।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা