অনলাইন ডেস্ক
সোমবার (১৬ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী যুবদল আয়োজিত যুবসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমন মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল। বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করছে। প্রশাসনকে বেআইনি কাজ করতে বাধ্য করছে। খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে আটকে রাখার জন্য একদিন না একদিন জবাবদিহি করতে হবে। যে সমস্ত বিচারক রায় দিয়েছেন তাদের জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে।
বাংলাদেশ সফর করা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীন নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সুপারিশে সংলাপের কথা বলা হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বিএনপিকে শর্ত বাদ দিয়ে সংলাপে বসতে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের আহ্বানের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। ত্রয়োদশ সংশোধনীতে দুইবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের সুপারিশ ছিল। সরকার প্রতারণা করে আইন সংশোধন করেছে। সংবিধানের ভিত্তিতে নির্বাচন হতে হলে আগে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। ভূতের মুখে রাম নাম শোভা পায় না।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, সরকারের আর সময় নেই, এই সমাবেশ স্পষ্ট বার্তা। বিএনপির সঙ্গে জনগণ আছে। সরকারের পতনের জন্য এই জনগণই যথেষ্ট।
কয়েকদিনের মধ্যে সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, দেশ থেকে ইনসাফ উঠে গেছে। খালেদা জিয়াকে নিয়ে শিষ্টাচার বহির্ভূত বক্তব্য দিচ্ছে। বিএনপি’র এজাহারভুক্ত ৪৩ লক্ষ নেতাকর্মী ঢাকামুখী হলে সরকারের পতন সুনিশ্চিত। অচিরেই প্রয়োজনবোধে তাই করবো।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, খালেদা জিয়ার মৃত্যু সংবাদ শোনার জন্য গণভবনে অপেক্ষায় আছেন প্রধানমন্ত্রী। খালেদা জিয়ার বিদায়ের আগে সরকারের বিদায় ঘটাতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলে, চীনের টাকা লুটপাট করার জন্য ভারত নাকি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসাবে। বিনা কারণে ছাড় দিবে না বিএনপি। আন্দোলনের সময় সামনাসামনি আঘাত আসলে, গেরিলা আঘাতের প্রস্তুতি নিতে হবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা