অনলাইন ডেস্ক
উপকূলীয় এলাকা কিংবা দুর্গম জেলা। যেখানে নেই করোনাভাইরাসের কোনো আধুনিক চিকিৎসা সুবিধা। সেসব এলাকায় বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ এর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে ভাসমান আইসোলেশন বানানোর চিন্তা করছে সরকার।
বিআইডব্লিউটিএ ও লঞ্চ মালিকরা জানিয়েছেন, সরকার চাইলে তারা কমপক্ষে দুই শতাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চ দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। নৌ মন্ত্রণালয় বলছে, স্বাস্থ্য অধিদফতরের চাহিদা পেলেই তারা চূড়ান্ত উদ্যোগ নেবে।
সদরঘাটের এমন সুনসান নীরবতা দেখা যায়নি গত ৫ দশকেও। ২৮টি পন্টুনে নেই একটি লঞ্চও। কবে আবার যাত্রী আসবে সে আসায় ঘাট থেকে দূরে অপেক্ষায় শতাধিক লঞ্চ।
তবে চলাচল বন্ধ থাকায় বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় এসব লঞ্চকে ভাসমান আইসোলেশন বা হাসপাতাল হিসেবে ব্যবহারের চিন্তা করছে সরকার।
লঞ্চ মালিকরা বলছেন, সরকার চাইলে নদী তীরবর্তী দুর্গম এলাকায় তারা তাদের সব লঞ্চ দিতে প্রস্তুত রয়েছেন।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌযান সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, স্বাস্থ্য সেবার জন্য চিকিৎসক এবং নার্স লাগবে। এগুলো আমাদের হাতে নেই। জাহাজে যা যা কিছু করার দরকার হলে আমরা করে দেব।
বিআইডব্লিউটিএ বলছে, করোনা মোকাবিলায় তারা কমপক্ষে দুই শতাধিক লঞ্চ দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। যেখানে ২০ হাজার সাধারণ কেবিন ও প্রায় ৬০ ভিআইপি কেবিনকে আইসোলেশন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
এদিকে. যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধ করার ক্ষেত্রে চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোকে ‘আইসোলেশন সেন্টার’ করার জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিকদের সম্মতি পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গত শনিবার ঢাকা সদরঘাটে নৌযানে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
Like & Share our Facebook Page
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা