ম্যাচ ফিক্সিংয়ের পাওয়া প্রস্তাব দুর্নীতি দমন ইউনিটের কাছে প্রকাশ না করায় বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-২০ অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। তবে নিজের দায় স্বীকার করে নেয়ায় এক বছর নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করা হয়েছে।
নিষিদ্ধ হবার পর মঙ্গলবার রাত সোয়া আটটায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের অভিমত ব্যক্ত করেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘ভালোবাসার খেলা থেকে নিষিদ্ধ হওয়ায় খুব কষ্ট লাগছে। কিন্তু অ্যাপ্রোচের কথা রিপোর্ট না করায় যে শাস্তি পেতে হচ্ছে তা আমি মেনে নিচ্ছি। আইসিসি ও আকসু দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই করছে তাতে খেলোয়াড়দের বড় ভূমিকা থাকে। কিন্তু আমি আমার দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি আশা করি এর আগে সরকার, বিসিবি, মিডিয়া এবং দেশের জনগণ যেভাবে আমার পাশে ছিলেন, আগামীতেও সেভাবে আমার পাশে থাকবেন। আমাকে সহায়তা করবেন।পরবর্তীতে আমি আরও স্ট্রং হয়ে ক্রিকেটে ফিরে আসবো।’
ভবিষ্যতে তরুণ কোনো ক্রিকেটার যেন এমন ভুল না করে, সেটা নিশ্চিত করতে চান সাকিব। এ ব্যাপারে আইসিসিকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করতে চান, ‘বিশ্বের অধিকাংশ ক্রিকেটার ও সমর্থকের মতো আমিও চাই দুর্নীতিবিরোধী খেলার পরিবেশ। আমি আইসিসির দুর্নীতিবিষয়ক কমিটির সঙ্গে এ ব্যাপারে কাজ করার অপেক্ষায় আছি। তরুণ ক্রিকেটারদের শিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেব এবং নিশ্চিত করতে চাই, তরুণ ক্রিকেটাররা আমার ভুল থেকে শিক্ষা নেবে।’
সাকিবের সংবাদ সম্মেলনে পাশেই ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমরা হতাশ। এর চেয়ে হতাশার আর কিছুই হতে পারে তা জানা নেই। দলে সাকিব-মাশরাফির কোন বিকল্প নেই। সাকিবের এখন খুবই খারাপ সময় যাচ্ছে। তার পাশে বিসিবি সবসয়ই থাকবে।’
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা