কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে লুঙ্গি পরে ঘুরে বেড়ান সাইয়েদ জামিল
তাসকিনা ইয়াসমিন
১৪ ই ফেব্রুয়ারি ভালবাসা দিবসে বইমেলায় লুঙ্গি পরে ঘোরার ঘোষণা দিয়েছেন কবি সাইয়েদ জামিল। সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর একটার দিকে তিনি ফেসবুকে এক স্ট্যাটাস দিয়ে এই ঘোষণা দেন। বাঙালির ঘরোয়া এই পোশাক পরে মেলায় আসার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই বন্ধূমহলে বেশ সাড়া পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
ফেসবুক স্ট্যাটাস
হঠাৎ করে বাঙালি পুরুষের চিরায়ত এই পোশাক পরে মেলায় যাবার আগ্রহ কেন জাগল এ প্রসঙ্গে কবি সাইয়েদ জামিল বলেন, এই প্ল্যানটা হুট করেই মাথায় এসেছে। আমার মনে হয়েছে, আমাদের বাঙালিদের যেসব দিন আছে পহেলা ফাল্গুন, পহেলা বৈশাখসহ নিজেদের যে দিনগুলো আছে এগুলোতে আমি চাইছিলাম যে আমাদের যে ঐতিহ্যবাহী পোশাকগুলো আছে সেগুলো পরব।
তিনি বলেন, যদিও লুঙ্গি বাঙালিদের পোশাক না। এটা নিকট অতীতের পোশাক। লুঙ্গিটাকে আমরা গ্রহণ করেছি। আমি ঘোষণা দিলাম, আরও অনেকে পরার ঘোষণা দিল। শিফাও (জীবনসঙ্গী) নাকি পরবে!
গ্রামে কিম্বা স্বল্প আয়ের মানুষেরা লুঙ্গি ঘরের বাইরে পরলেও রাজধানী ঢাকাসহ শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে লুঙ্গি পরে বাইরে ঘোরার চল বাংলাদেশে খুব কম। কিন্তু সাইয়েদ জামিলের এই ঘোষণার পর এ পর্যন্ত প্রায় দশজন মতো আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
এদের মধ্যে আছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক য. উপল তালুকদারও। আছেন কয়েকজন কবি-সাহিত্যিক ও সাংবাদিক।
জামিল বলেন, এরইমধ্যে দুজন নারী লুঙ্গি পরার আগ্রহ প্রকাশ করেছে তারা আদৌও আসবে কিনা আমি নিশ্চিত না! ১৫-২০ জন হলেই হবে। লুঙ্গির সঙ্গে কালারফুল কোন পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরব।
তবে, এইভাবে ঘোষণা দিয়ে পাবলিক প্লেসে লুঙ্গি পরে ঘোরার মতো সাহসী সিদ্ধান্ত সাইয়েদ জামিল এর আগেও নিয়েছেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, আমি এর আগে ঘোষণা দিয়ে কক্সবাজারে পরেছিলাম। সমুদ্র সৈকতে গিয়ে আমরা প্যান্ট শার্ট পরে একটা মেকি ভদ্রতা করি। আমার মনে হয়েছে যে, প্যান্ট শার্ট পরছি কিন্তু আমার দাদা বা আগের জেনারেশন এই পোশাকটা পরেনি। আমি পরেছিলাম জনগণের রিয়্যাকশনটা কেমন হয় দেখার জন্য। আমি হোটেল থেকে ঠিকই লুঙ্গি পরে, ফতুয়া পরে বের হয়েছি। প্রথমদিকে মানুষ আর দিকে একটু পিকুলিয়ারভাবে তাকিয়েছে কারণ এইরকম একজন মানুষ লুঙ্গি পরে বের হচ্ছে। কিন্তু পরবর্তীতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে এটা কোন ব্যাপার না। এটা আমাদেরই পোশাক।
উইকিপিয়া সূত্র জানায়, লুঙ্গির প্রচলন বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলংকা এবং মায়ানমারে দেখা যায়। এটির সূচনা দক্ষিণ ভারতের বর্তমানের তামিলনাডুতে। বাংলাদেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষ লুঙ্গি পরিধান করে। তবে, এর ব্যবহার ধীরে ধীরে কমে আসছে। এরপরও এটি অধিকাংশ পুরুষের পরিচ্ছেদ পোষাক।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা