অনলাইন ডেস্ক
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে বাণিজ্য বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের অর্থনীতিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বাণিজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার উদ্যোগটিও প্রথম ভারতের পক্ষ থেকেই নেয়া হয়। ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশের বাণিজ্য, পররাষ্ট্র ও রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এক বৈঠকেরও আয়োজন করা হয়। বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ও উন্নয়ন। এর বাইরেও একাধিক ফোনকল ও ভার্চুয়াল বৈঠকে বাণিজ্য স্বাভাবিক করার ওপর জোর দিয়ে বক্তব্য রাখে ভারত। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। এসব বৈঠক ও আলোচনার মাধ্যমে বাণিজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশ। এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জুন বাংলাদেশে পণ্য রফতানি শুরু করে ভারত। তবে বাংলাদেশী পণ্য প্রবেশে বাধা দিচ্ছিল ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় বাণিজ্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আহ্বান জানিয়ে এরই মধ্যে দিল্লিকে চিঠিও দিয়েছে ঢাকা। তবে এতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় বাংলাদেশী রফতানিকারক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা গতকাল দুপুর থেকে ভারতীয় পণ্য খালাস বন্ধ করে দেয়। এতে ভারত থেকে পণ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রফতানিকারক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের ভারতীয় কাস্টমসের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
আমদানি-রফতানিতে জড়িত সিঅ্যান্ডএফ সদস্যরা জানান, ভারতের আমদানি বন্ধ তাদের জন্যও বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এতে করে তারাও বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রফতানি করতে পারব ততক্ষণ আমদানিও বন্ধ থাকবে।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারতের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক অংশীদার বাংলাদেশ। ২০১৮-১৯ অর্থবছরেও দুই দেশের মধ্যকার মোট বাণিজ্যের ব্যাপ্তি ছিল ১০ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা