ভারতের কলকাতার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় গোপন স্থানে রাখে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী অস্ত্র ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মত ও দর কষাকষি চূড়ান্ত হবার পরে তারা অবৈধ অস্ত্র এনে বিক্রি করে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তার নাম হাফিজুর রহমান।
বুধবার (৬ নভেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপি’র গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান।
রাজধানীর মিরপুর মডেল থানাধীন কোরিয়া কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হেফাজত থেকে ৪টি বিদেশী আগ্নেয়াস্ত্র ও ১৭ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ৭ নভেম্বর বাসদ-এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী
তিনি বলেন, মো হাফিজুর রহমান তার সহযোগী মোঃ হাবিবুর রহমান বিশ্বাস ও জিল্লুর এর মাধ্যমে ভারত হতে বেনাপোল দিয়ে চোরাই পথে অবৈধ অস্ত্র-গুলি বাংলাদেশে আমদানী করে। অস্ত্র গুলি প্রথমে বিহার থেকে কলকাতার অস্ত্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত এলাকায় যে কোন গোপন স্থানে রাখে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশী অস্ত্র ব্যবসায়ীদের প্রয়োজন মত ও দর কষাকষি চূড়ান্ত হলে তারা নিয়ে আসে। তারা ভারতে কলকতার উত্তর চব্বিশ পরগনা আংরাইল নামক সীমান্তবর্তী গ্রাম ও বাংলাদেশের বেনাপোলে পুটখালী গ্রামের নদীর তীরে গোসল করার কৌশলে বাংলাদেশের সীমান্তে অবৈধভাবে নিয়ে আসে।
তারপর সুযোগ বুঝে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী উক্ত অস্ত্র সীমান্তের গোপন স্থান হতে বের করে ঢাকাসহ অন্যান্য স্থানে পৌঁছে দেয়। তাদের এই অস্ত্র সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, জঙ্গী গোষ্ঠী, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিসহ নানা ধরনের নাশকতামূলক বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার হয়ে থাকে।
হাবিবুর এর মাধ্যমে ভারতের উত্তরা চব্বিশ পরগনার বনগ্রামের জাহাঙ্গীর নামক ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করলে জাহাঙ্গীর প্রত্যেকটি অস্ত্রের জন্য ৩০ হাজার করে টাকা নিয়ে থাকে। যার বিনিময়ে জাহাঙ্গীর ভারত হতে উক্ত অস্ত্র-গুলি সরবরাহ করে থাকে।
সরবরাহকৃত অস্ত্র বাংলাদেশে এনে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট উচ্চ দামে বিক্রয় করে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
টিকিট কাটুন :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা