নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদ
ভারতের কর্ণাটক ও উত্তর প্রদেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভের সময় গুলিতে তিন জন নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কর্নাটকের ম্যাঙ্গালুরু শহরে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ চলার সময় পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেখানে দুইজন নিহত হয়েছে। উত্তর প্রদেশের লক্ষ্ণৌয়েও গুলিতে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
বৃহস্পতিরার অন্তত ১০টি রাজ্যের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। এর আগে নাগরিক সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর অসমে বিক্ষোভের সময় ৫ জন নিহত হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
ভারতের বিজেপি সরকারের সদ্যপ্রণীত বিতর্কিত ও মুসলিমবিরোধী নাগরিকত্ব আইন নিয়ে টানা কয়েক দিন ধরে চলছে বিক্ষোভ।
আন্দোলনের কারণে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ, দিল্লি, মুম্বাই, লখনউ, কেরালা, মধ্যপ্রদেশ, বেঙ্গালুরু, মেঙ্গালুরু সর্বত্র চলছে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদ।
একাধিক ঘটনা ঘটেছে লাঠিচার্জের, পুলিশি তাণ্ডবের, টিয়ার গ্যাস ছোড়ার। এবার সেই প্রতিবাদে প্রাণ হারাতে হল মেঙ্গালুরুর ২ প্রতিবাদীকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে ম্যাঙ্গালুরুতে চার পুলিশ সদস্যকে গুলি চালাতে দেখা গেছে। সেখানে শিক্ষার্থীদের একটি দলকে লক্ষ করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। বৃহস্পতিবার হাসপাতালের কর্মকর্তারা আহত দুইজনের মৃত্যুর খবর জানান।
স্থানীয় একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, এদিন বিকাল থেকেই শহরটিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভে নামা বিক্ষুব্ধ জনতার সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়েছে।
ওদিকে উত্তর প্রদেশের রাজধানী লক্ষ্ণৌয়ে বৃহস্পতিবার একজনের মৃত্যুর খবর সম্পর্কে বিক্ষোভকারীরা বলেছে, বিক্ষোভ চলাকালে পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন পুলিশের গুলিতে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর কথা অস্বীকার করেছে।
সহিংসতার আশঙ্কায় বুধবার রাত থেকেই গোটা উত্তরপ্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি করেছিল প্রশাসন। চারজনের বেশি লোকের জমায়েতের উপর জারি করা হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল ব্যাঙ্গালুরুসহ কর্ণাটকের বিভিন্ন স্থানেও। পার্স টুডে।
Like & Share our Facebook Page: Facebook
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা