আনন্দবাজার পত্রিকা
পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকালে পামেলা নিউ আলিপুরের এনআর অ্যাভিনিউ দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন। গাড়িতে প্রবীর ছাড়াও ছিলেন পামেলার নিরাপত্তারক্ষীরা। সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ ওই গাড়ি আটকায়। পামেলার কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০০ গ্রাম কোকেন।
পুলিশের দাবি, ওই মাদকের বাজারদর প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা।
দীর্ঘ দিন ধরে বিজেপি দল করেন ওই নেত্রী। সম্প্রতি তিনি বিজেপির যুব মোর্চার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছিলেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কেন এবং কোথায় ওই মাদক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, কোনও বড় চক্রের সঙ্গে পামেলারা জড়িত রয়েছেন কি না। এই বিষয়ে অন্য কারও যোগাযোগ রয়েছে কি না-তা তদন্ত করে দেখা হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, নিউ আলিপুরে প্রতিনিয়ত যাতায়াত ছিল পামেলার। প্রবীর দে-ও ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রতিদিনই নাকি নিউ আলিপুরের রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যেতে বিজেপি নেত্রীকে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেন. সেইসময় মাদক কারবারিরা তাঁকে মাদক সরবরাহ করে যেত।
এরপরই এদিন পুলিশ পামেলাকে ধরতে ফাঁদ পাতে। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে পামেলা বাইরে এসে দাঁড়ান। সেইসময় পুলিশ তাঁকে হাতেনাতে ধরে। তার ব্যাগ থেকেও কোকেনের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। গাড়ির সিটের নিচে প্রচুর পরিমাণে মাদক মেলে। পামেলা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের স্নেহধন্যা। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভার ভোটের আগে বিজেপি নেত্রীর মাদকসহ গ্রেফতারের ঘটনায় ভোটের মুখে বেশ অস্বস্তিতে পড়েছে গেরুয়া শিবির।
এ ব্যাপারে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘আমি এখনও স্পষ্টভাবে এই বিষয়ে কিছু জানি না। না জেনে এ বিষয়ে মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে ওদের ব্যাগে মাদক ছিল, নাকি তা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেটিও ভাববার বিষয়।
বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যদি ফাঁসানো না হয়ে থাকে, তাহলে মাদক সরবরাহের অভিযোগে যা শাস্তি হওয়া উচিত, আইন তাই দেবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা