তিন ফেবারিটের এক দল হিসেবে বিশ্বকাপে গিয়েছিল ভারত। গ্রুপ পর্ব পেরোতে ফেবারিটের তালিকায় শীর্ষে উঠে গিয়েছিল দলটি। সেমিফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে গ্রুপ পর্ব পার হওয়া নিউজিল্যান্ড। ফাইনালের স্বপ্ন দেখায় তাই দোষ ছিল ছিল না দলটির সমর্থকদের।
মাঠের খেলায় সব হিসেব পাল্টে গেছে। ভারতকে স্তব্ধ করে দিয়ে ১৮ রানে সেমিফাইনালে জিতে ফাইনালে চলে গেছে নিউজিল্যান্ড। ভারতের হার সইতে না পেরে এক সমর্থক মৃত্যুবরণ করেছেন, আরেক সমর্থক চেষ্টা করেছেন আত্মহত্যা করে হতাশা থেকে মুক্তি পাওয়ার।
সমর্থকের মৃত্যুর দুঃখজনক ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গে ঘটেছে। আজ পুলিশ জানিয়েছে, এমএস ধোনির রান আউট হওয়ার দৃশ্য সইতে না পেরে হৃদ্যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায় শ্রীকান্ত মাইতির। পশ্চিমবঙ্গের হুগলির সেকেন্দারপুরে একটি সাইকেল সারাইয়ের দোকান ছিল মাইতির। গতকাল ৪৯তম ওভারে ধোনির রান আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ৩৩ বছর বয়স্ক মাইতি অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। ম্যাচের মহা গুরুত্বপূর্ণ ওই সময়ে ধোনির আউটেই ম্যাচের মীমাংসা হয়ে গিয়েছিল। নিজের দোকানে বসে মোবাইলে খেলা দেখা মাইতি খেলার উত্তেজনার ওই মুহূর্তে সে হতাশা সহ্য করতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রামবাসী বলেছেন তৃতীয় আম্পায়ার ধোনিকে আউট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাইতির কাঁপতে কাঁপতে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে খানাকুল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করে। এক পুত্র ও কন্যা সন্তানের জনক মাইতির অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া হয়েছে আজ।
ওদিক ওডিশায় ২৫ বছর বয়সী এক সমর্থক দলের হার মেনে না নিতে পারে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, ওডিশার কালাহান্দি জেলার সিংভাদি গ্রামের সামারু ভোই আজ বিষ পানে মরার চেষ্টা করেছেন। গতকাল বন্ধুদের সঙ্গে এক সঙ্গে খেলা দেখেছেন ভোই। ভারতের জয়ের ব্যাপারে এতটাই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে বন্ধুদের সঙ্গে এ নিয়ে তর্কও করেছিলেন। কিন্তু ম্যাচ হারার পর হতাশায় ডুবে যান।
আজ সকালে ভোরে ঘর থেকে বের হয়ে চাষের জমিতে গিয়ে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে আপাতত বেঁচে যান ভোই। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনো হাসপাতালে থাকলে তাঁকে চিকিৎসকেরা শঙ্কামুক্ত ঘোষণা করেছেন।
NB:This post is copied from prothomalo.com
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা