অনলাইন ডেস্ক
বিএনপির মহাসচিব বলেন, আগেও বাংলাদেশের জরুরি প্রয়োজনের সময় বিভিন্ন পণ্যের রপ্তানি একতরফাভাবে ভারত বন্ধ করেছে। এতে বাংলাদেশকে চরম বিপদাপন্ন হতে হয়েছে। তাই শুধু ভারতের ওপর নির্ভর না করে বিকল্প উৎস থেকে অক্সিজেনসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভা থেকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দেশে অক্সিজেন উৎপাদনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়েছে।
করোনার টিকা প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভা মনে করে, সব বিশেষজ্ঞ ও বিএনপি এই বিষয়ে প্রথম থেকেই সরকারকে সতর্ক করেছে। কিন্তু সরকার কর্ণপাত না করে নিজস্ব দুর্নীতিপরায়ণ কোম্পানির মাধ্যমে শুধু ভারত থেকে একটি কোম্পানির টিকা সংগ্রহ করতে কার্যক্রম গ্রহণ করে। এতে আজ সমগ্র জাতি বিপদগ্রস্ত হয়েছে। এখন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বলছে, তারা ভারতের চাহিদা পূরণের জন্য বাংলাদেশে টিকা সরবরাহ করতে অপারগ। বিএনপি বিকল্প উৎস অনুসন্ধান ও বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বসহকারে বলেছিল। বিএনপির আশঙ্কা সত্যে পরিণত হয়েছে।
চীন ও রাশিয়ার কাছ থেকে টিকা সংগ্রহের সুযোগ থাকার পরেও তা করা করা হয়নি বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, চীন প্রস্তাব নিয়ে এসেছিল টিকা উৎপাদনের জন্য। কিন্তু তারপরই ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বাংলাদেশে আগমন ও বাংলাদেশ সরকার শুধু ভারত থেকে টিকা সংগ্রহের চুক্তি করে। যা জাতির জন্য এক চরম স্বাস্থ্য বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সরকারকে এই দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির জন্য অবশ্যই জনগণের কাছে জবাব দিতে হবে।
অবিলম্বে টিকা সংগ্রহ, টিকাদানের পরিকল্পনা ও সুস্পষ্ট রোডম্যাপ জনগণের সামনে সুনির্দিষ্টভাবে জানানোর আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল বলেন, বাংলাদেশের পরিণতি যে এমন হবে, তা তাঁরা আগে কখনো কল্পনাও করেননি। তিনি বলেন, ‘আজকে দুর্ভাগ্য আমাদের। আজকে ৫০ বছর পরেও আমাদের এ রকম ভয়ংকর একটা পরিস্থিতি দেখতে হচ্ছে। সে কারণে বারবার বলে আসছি, এখনো বলছি, এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে হলে অবশ্যই এখানে একটি নিরপেক্ষ–সুষ্ঠু–অবাধ নির্বাচন হতে হবে। সেই সুষ্ঠু–অবাধ নির্বাচন করার জন্য একটি নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে। এ জন্যই আজকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে যারা ক্ষমতা দখল করে আছে, তাদের সরিয়ে সত্যিকার অর্থেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
সব ধরনের শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণ, কর্মের নিশ্চয়তা প্রদান ও লকডাউনে কর্মচ্যুত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ, খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার দাবি জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘বিএনপির প্রস্তাবিত প্রণোদনা অনুযায়ী প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক শ্রমিকদের কমপক্ষে তিন মাসের জন্য ১৫ হাজার টাকা হারে এককালীন অনুদান প্রদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকার মূলত কতগুলো মাফিয়া চক্রের মধ্যে একত্রিত হয়েছে। তাদের নিয়েই দেশ চালাচ্ছে। একটা মাফিয়ার সরকার তৈরি হয়েছে। অনেকবারই বিএনপি এ কথা বলেছে। এ দেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে আজকে মাফিয়ারাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা