অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) হায়দরাবাদের রাজিব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের দেয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় ডাচরা। ম্যাক্স ও’দাউদকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন হাসান আলি। আউট হওয়ার আগে ১২ বলে ৫ রান করেন এই ডানহাতি ওপেনার।
এরপর জুটি গড়েন বিক্রমজিৎ ও কলিন অ্যাকারম্যান। কিন্তু ১২তম ওভারে বল হাতে নিয়েই দলকে উইকেট এনে দেন ইফতিখার আহমেদ। কলিন আকারম্যান (২১ বলে ১৭) সুইপ করতে গেয়ে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন। তবে তৃতীয় উইকেটে বাস ডি লিড ও বিক্রমজিৎ সিং মিলে ৭০ রানের জুটি গড়ে। মূলত এই জুটিতেই জয়ের স্বপ্ন বুনতে শুরু করে নেদারল্যান্ডস ২৪তম ওভারের পঞ্চম বলে ফখর জামানের হাতে ক্যাচ দিয়ে শাদাব খানের শিকার হন বিক্রম। ৬৭ বলে ৫২ রান করেন ডাচ ওপেনার।
২৭তম ওভারে দলীয় ১৩৩ রানে জোড়া আঘাত হানেন হারিস রউফ। ফেরান তেজা নিদামানুরু ও স্কট এডওয়ার্ডসকে। ৩৩তম ওভারের প্রথম বলে সাকিব জুলফিকারের উইকেট তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ১৮ বলে ১০ রান করেন সাকিব। একপ্রান্ত আগলে রেখে ডি লিড ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি কেউই। শেষ পর্যন্ত এই ডাচ ব্যাটার ফেরেন ৬৮ বলে ৬৭ রান করে। তার ইনিংস জুড়ে ছিল ২টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার।
শেষের দিকে আর কোনো ব্যাটারই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। ফলে তারা দল আউট হয়ে যায় ২০৫ রানে। পাকিস্তানের হয়ে তিনটি উইকেট নেন হারিস রউফ। হাসান আলী নেন দুটি উইকেট। এছাড়া শাহিন, ইফতিখার, নেওয়াজ ও শাদাব নেন একটি করে উইকেট।
এর আগে, টসে হেরে ব্যাট নেমে শুরতেই ওপেনার ফাখার জামানকে হারায় পাকিস্তান। ১২ রান করা পাক ওপেনার ফখরকে ফেরান লোগান ভ্যান বেক। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি অধিনায়ক বাবর আজমও। তৃতীয় বোলার হিসেবে আক্রমণে এসেই পাকিস্তান অধিনায়ক বাবরকে ফেরান কলিন অ্যাকারম্যান। ডাচ স্পিনারের বলে আউট হওয়ার আগে মাত্র ৫ রান করেন বাবর। ৪ রানের ব্যবধানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে সাজঘরে ফিরে যান আরেক ওপেনার ইমাম। ১৫ রান করে ডাচ পেসার পল ভ্যান মিকেরেনের বলে থার্ডম্যানে ক্যাচ দেন এই বাঁহাতি ওপেনার।
এরপর রিজওয়ান ও শাকিল শুরুর চাপ সামাল দেন। পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিজওয়ান খানিকটা দেখেশুনে খেললেও ডাচ বোলারদের উপর রীতিমতো তাণ্ডব চালান শাকিল। মাত্র ৩২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অর্ধশতক তুলে নেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে থাকা ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানও তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৩তম ফিফটি। এই দুই ব্যাটারের নৈপুণ্যে শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে পাকিস্তান।
এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় পাকিস্তান। একটা সময়ে ৩ উইকেটে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৫৮ রান। পরের ৩৮ রানে পাকিস্তান হারায় আরও ৩ উইকেট। ৫২ বলে ৯টি চার আর এক ছক্কায় ৬৮ রান করে ফেরেন সৌদ শাকিল। শাকিলের বিদায়ের পর আউট হন রিজওয়ানও। পাকিস্তানের উইকেটকিপারও করেন ৬৮ রান। ক্রিজে এসে দ্রুতই বিদায় নেন ইফতিখার আহমেদ। বাস ডি লিডের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ ফেরেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। এরপর জুটি গড়েন শাদাব ও নওয়াজ। তারা দু’জনে মিলে যোগ করেন ৬৪ রান।
শাদাব ও নওয়াজের জুটি ভাঙেন ডি লিড। ডানহাতি এই পেসারের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এজ হয়ে বোল্ড হন ৩২ রান করা শাদাব। দারুণ ব্যাটিং করা নওয়াজ করেছেন ৩৯ রান। শেষ দিকে হারিস রউফ ১৬ এবং শাহীন শাহ আফ্রিদির অপরাজিত ১৩ রানের পরও ২৮৬ রানে অল আউট হয়ে যায় পাকিস্তান। নেদারল্যান্ডসের হয়ে একাই চার উইকেট নেন ডি লিড। এছাড়াও অ্যাকারম্যান পান ২টি উইকেট এবং ১টি করে উইকেট নেন আরিয়ান দত্ত, লোগান ভ্যান বেক ও ভন মিকেরেন।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা