অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।
জানা গেছে, ২২ ডিসেম্বর বিএনপি গণসমাবেশের তারিখ নির্ধারিত করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের অজুহাতে এ সমাবেশ স্থগিত করা হয়। তাই পরে ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণসমাবেশ করার তারিখ নির্ধারণ করে জেলা বিএনপি। স্থানীয় ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনের মাঠে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে সমাবেশের স্থান হিসেবে উল্লেখ করে আবেদনও করে বিএনপি। এরপর একই জায়গায় সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় জেলা ছাত্রলীগ। এ নিয়ে সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে শোডাউন দেন জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এদিকে দলীয় নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জহিরুল হক খোকন এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সিরাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা বলেন, সকালে আমাদের দলের শীর্ষ তিন নেতাকে পুলিশ আটক করেছে। আমরা সমাবেশ করবোই। প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে কমিউনিটি সেন্টারের ভেতরে সমাবেশ করতে। কিন্তু সমাবেশ তো ইনডোরে করা যায় না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, বিএনপি নেতাদের আটক করার এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা তাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি।
তবে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল সমাবেশ নিয়ে বলেন, ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনে মাঠে মুজিববর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশের আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। বিএনপি আবেদন করার আগেই আমরা জেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছি। এখন আমাদের লিখিত অনুমতি দেয়নি, তবে মৌখিক ভাবে তারা জানিয়েছে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা