ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’টি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এক শোকবার্তায় নিহতদের রূহের মাগফেরাত এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তিনি শোকসন্তুপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি একই সাথে ট্রেন দুর্ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার হাসপাতালগুলোতে ভর্তিকৃত আহত যাত্রীদের শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জন, চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে দুটি ট্রেনে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এখন ও পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানা গেছে। তবে, এ সংখ্যা বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
নিহতরা হলেন−চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন আরাফাত (১২), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ছোঁয়ামনি (৩), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫), চাঁদপুরের হাইমচরের কাকলী (২০), হবিগঞ্জের রিপন মিয়া (২৫), চাঁদপুরের হাইমচরের মরিয়ম (৪), নোয়াখালীর মাইজদির রবি হরিজন (২৩), চাঁদপুর সদরের ফারজানা (১৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পিয়ারা বেগম (৩২)। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে একজন মুন্না (২৫) কে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আহতদের চিকিৎসায় ১০ হাজার এবং নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেবার ঘোষণা রেলমন্ত্রীর
মরদেহ হস্তান্তরের সময় প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুজ্জামান।
ট্রেন দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসায় ১০ হাজার টাকা এবং নিহতদের পরিবারকে ১ লাখ টাকা দেবার ঘোষণা দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন।
ট্রেনের সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সকালে পৃথকভাবে এসব তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।রেল সূত্র জানায়, গঠিত পাঁচটি তদন্ত কমিটির মধ্যে বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের একটি, সরকারি রেলপরিদর্শকের একটি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের একটি।
রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন জানান, ঘটনার তদন্তে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাশপাশি জেলা প্রশাসন করেছে একটি তদন্ত কমিটি। রেলের পক্ষ থেকে গঠিত দুই কমিটির একটিতে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্বাঞ্চল) মিজানুর রহমানকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
অপরটিতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা নাসির উদ্দিনকে প্রধান করে চার সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।
ফেসবুক পেজ :
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা