পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই রেফারিং ছিলো অত্যন্ত বাজে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও, আমি এখনই দেখতে পাচ্ছি এবারের শিরোপা জিতবে ব্রাজিল। ফাইনাল ম্যাচে রেফারি কিংবা ভিএআরের কিছুই করার থাকবে না। কথাগুলো বলছিলেন লিওনেল মেসি। গতকাল অত্যন্ত বাজে রেফারিং এর শিকার হয়ে লাল নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে আর্জেন্টাইন এই ফুটবল তারকাকে।
রেফারি মারলো দিয়াজ এদিন প্রতিশোধ নিয়েছেন বলেই মন্তব্য ভক্তদের। কেননা এর আগে সেমিফাইনালের ম্যাচের খেলা পরিচালনা নিয়ে মেসির অভিযোগ ছিল এই রেফারিকে নিয়ে। করিন্থিয়াস এরেনায় ম্যাচের ৩৭ মিনিটের মাথায় পাওলো দিবালার বাড়ানো বল মাঠের মধ্যে রাখতে গিয়ে চিলির ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় মেসির। মেডেল বারবার ধাক্কা মারতে থাকলেও মেসি ছিলেন নির্লিপ্ত।
প্রায় ১৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো লাল কার্ড দেখতে হয়েছে মেসিকে। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন মেসি। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে কোপার শিরোপা জিততে না পারা আর্জেন্টিনা এবার সেমিফাইনালে ব্রাজিলের কাছে ২-০ গোলে হারে।
এদিকে ম্যাচের পরেও নিজের রাগ ঠান্ডা করতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল। রেফারির ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের ম্যাচ শেষে বের হননি ড্রেসিং রুম থেকে। নিজেকে বন্দী রাখেন লকার রুমেই। পুরো দল যখন বাইরে নিচ্ছিল তৃতীয় হওয়ার পুরষ্কার, তখন অনুপস্থিতই ছিলেন মেসি।
প্রাথমিকভাবে এর কারণ বোঝা না গেলেও, পরে সংবাদমাধ্যমে নিজেই মুখ খুলেছেন ক্ষুদে জাদুকর। মূলত বাজে রেফারিংয়ের প্রতিবাদস্বরূপ পুরষ্কার নিতে বের হননি মেসি। এসময় তিনি ফাইনালের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেন।
রেফারির মতে মেডেলকে ফাউল করতে উৎসাহিত করার অপরাধে এবং মাথা দিয়ে আঘাত করার ইঙ্গিত করায় মেডেলের সঙ্গে মেসিকেও লাল কার্ড দেখান মেসি। ফলে দুই দলই পরিণত হয় দশ জনে। শেষতক সার্জিও আগুয়েরো ও পাওলো দিবালার গোলে ২-১ ব্যবধানে ম্যাচ ঠিকই জিতেছে আর্জেন্টিনা।
NB:This post is copied from kalerkantho.
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা