ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত মুন্না(২৫)কে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরী বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া এতথ্য জানান।
তিনি জানান, মুন্না পায়ে আঘাত পেয়েছে। তার চিকিৎসা চলছে। মুন্না সাংবাদিকদের জানায়, তার বাড়ি হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে। সে তার বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে চট্টগ্রাম যাচ্ছিল।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মন্দবাগ নামক স্থানে দুটি ট্রেনে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এখন ও পর্যন্ত এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ১৬ জন বলে জানা গেছে। তবে, এ সংখ্যা বাড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
নিহতরা হলেন−চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের পশ্চিম রাজারগাঁওয়ের মুজিবুল রহমান (৫৫), হবিগঞ্জের ভোল্লার ইয়াছিন আরাফাত (১২), চুনারুরঘাটের তিরেরগাঁওয়ের সুজন আহমেদ (২৪), মৌলভীবাজারের জাহেদা খাতুন (৩০), চাঁদপুরের কুলসুম বেগম (৩০), হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ের আল-আমিন (৩০), হবিগঞ্জের আনোয়ারপুরের আলী মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২), হবিগঞ্জের বানিচংয়ের আদিবা (২), ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সোহামনি (৩), চাঁদপুরের উত্তর বালিয়ার ফারজানা (১৫), চাঁদপুরের হাইমচরের কাকলী (২০), হবিগঞ্জের রিপন মিয়া (২৫), চাঁদপুরের হাইমচরের মরিয়ম (৪), নোয়াখালীর মাইজদির রবি হরিজন (২৩), চাঁদপুর সদরের ফারজানা (১৫), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের পিয়ারা বেগম (৩২)।
লাশ হস্তান্তরের সময় প্রত্যেকের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার করে টাকা দিচ্ছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামসুজ্জামান।