ব্যাংক ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না ত জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩ মার্চ) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিনজনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
গত রোববার ১ মার্চ মাহফুজুর রহমান নামে একছাত্র এ সংক্রান্ত একটি রিট করেন। রিটকারির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
আবেদনটি উপস্থাপনের পর শুনানির এখতিয়ার নেই উল্লেখ করে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ তা কার্যতালিকা থেকে সোমবার (২ মার্চ) বাদ দেন। পরে ওই আবেদন নিয়ে হাইকোর্টের এই বেঞ্চে উপস্থাপন করা হয়।
পরে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে আমানতকারিদের বিষয়ে কিছু বলা নেই। কিন্তু আমানতকারির সুদের হার ৬ শতাংশের এবং সার্বিক সুদের হার কমানোর কারণে ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কী পলিসি ডিসিশনের কারণে এটা করা হয়েছে সেটা জানতে আদালতের কাছে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা রয়েছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা নাই। এখন তারা চাইলে যা ইচ্ছা সুদ নিতে পারবে। শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান কেন, পলিসি ডিসিশনের ক্ষেত্রে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আগামী এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ কার্যকরে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে নতুন ও পুরোনো সব ধরনের ঋণে সুদ হার হবে ৯ শতাংশ। তবে সুদ কমানোর পরও কেউ ঋণ খেলাপি হলে অতিরিক্ত ২ শতাংশ সুদ যুক্ত করা যাবে। এর ফলে ভালো গ্রাহক ও খেলাপি গ্রাহকদের ঋণের সুদ আলাদা নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা