অনলাইন ডেস্ক
ডব্লিউএমও প্রতিবেদনে দেখা যায়, ১৯৭০ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১১ হাজার ৭৭৮টি আবহাওয়া-সম্পর্কিত বিপর্যয় ঘটেছে। এই দুর্যোগের কারণে বিশ্বব্যাপী ৯০ শতাংশেরও বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে।
ডব্লিউএমও প্রধান পেটেরি তালাস বলেন, দুর্ভাগ্যবশত আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি-সম্পর্কিত বিপদের ধাক্কাগুলোর শিকার হয় সবচেয়ে দুর্বল সম্প্রদায়গুলো। এ ক্ষেত্রে তিনি ঘূর্ণিঝড় মোখার উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে মোখা মিয়ানমার ও বাংলাদেশে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্ররা। যদিও প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা এবং সমন্বিত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে মানুষের প্রাণহানি কম হয়েছে। অতীতে মোখার মতো দুর্যোগের সময় মিয়ানমার এবং বাংলাদেশে ১০ হাজার থেকে কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। ২০২৭ সালের শেষ নাগাদ গোটা বিশ্বকে দুর্যোগের আগাম সতর্কতা ব্যবস্থার আওতায় আনতে জাতিসংঘ একটি পরিকল্পনা চালু করেছে। বর্তমানে বিশ্বের মাত্র অর্ধেক দেশেই এ ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে।
ডব্লিউএমওর ২০২১ সালের একটি প্রতিবেদনে ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুর্যোগ-সম্পর্কিত মৃত্যু এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদনে দেখা যায়, শুরুর দিকে প্রতিবছর ৫০ হাজারের বেশি মৃত্যু দেখেছে বিশ্ব। তবে ২০১০ সালের পর থেকে সংখ্যাটি নেমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজারে। ২০২০ এবং ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ২২ হাজার ৬০৮টি দুর্যোগের মৃত্যু রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সতর্কতা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার জন্য এ মৃত্যুর হার এখন অনেক কমে এসেছে। প্রাথমিক সতর্কতা জীবন বাঁচায়।
মৃত্যু কমলেও আবহাওয়া-সম্পর্কিত দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে বলে সতর্ক করেছে ডব্লিউএমও। অর্থনৈতিক ক্ষতি ১৯৭০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সাতগুণ বেড়েছে। ধনী দেশগুলো এখন পর্যন্ত আর্থিক দিক থেকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবহাওয়া, জলবায়ু এবং পানি বিপর্যয়ের কারণে ৬০ শতাংশেরও বেশি ক্ষতির জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো। তবে চার-পঞ্চমাংশেরও বেশি ক্ষেত্রে প্রতিটি দুর্যোগে অর্থনৈতিক ক্ষতি মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) শূন্য দশমিক ১ শতাংশের কাছাকাছি ছিল।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা