অনলাইন ডেস্ক
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরমান হোসেন বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. রহিন বালুজ জানান, বাংলাদেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী মাসুদ আহমেদের মালামাল লুট ও হত্যার হুমকির অভিযোগে এক বিজিবি সিপাহির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে আদালতে। আদালত অভিযোগ গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডিকে।
তিনি আরও জানান, গত ৯ সেপ্টেম্বর ব্যবসায়িক কাজে বেনাপোল দিয়ে ভারতে যান বাদী। ১৬ সেপ্টেম্বর বেনাপোল দিয়ে দেশে ফেরার সময় তার পরিবারের জন্য ১০টি শাড়ি, ১০টি পাঞ্জাবি, ১০টি ফুল প্যান্ট, ২০টি চশমা এবং বিভিন্ন আইটেমের ৫ হাজার টাকা মূল্যের কসমেটিক সাথে করে আনেন। মালামাল নিয়ে ইমিগ্রেশন, কাস্টমস, বিজিবি চেকপোস্ট চেকিং, স্ক্যানিং ও ক্লিয়ারেন্স কাজ সম্পন্ন করে ইজিবাইকে করে যশোরের উদ্দেশে রওনা হন তিনি। কিন্তু, পথিমধ্যে বেনাপোল চেকপোস্টের সাদিপুর মোড়ের সামনে মোটরসাইকেলে করে ইজিবাইকের গতিরোধ করেন বিজিবির সিপাহি মনিরুজ্জামান। এ সময় তিনি বাদীকে জোরপূর্বক মালামালসহ বেনাপোল কোম্পানি ক্যাম্পে নিয়ে যান। বাদীকে বাইরে রেখে ক্যাম্পের ভেতরে মালামাল নেয়া হয়। এ সময় সিপাহি মনিরুজ্জামান বাদীকে বলেন, মালামালগুলো নিতে হলে আমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। বাদী বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন বললে- সিপাহী মনিরুজ্জামান বাদীকে ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর কথা বলেন।
এ প্রসঙ্গে বিজিবির বেনাপোল কোম্পানির সিপাহি মনিরুজ্জামান বলেন, আমি কোনো মালামাল জব্দ করিনি। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগও সঠিক নয়।
৪৯ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল সাহেদ মো. মিনহাজ বলেন, আদালতে বিজিবির সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করাটা ঠিক হয়নি। বাদী আমাদের কাছে অভিযোগ দিতে পারতেন। আমরা বিষয়টি আমলে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতাম। বিজিবির বিরুদ্ধে মামলা দিলে আমাদের মনোবল দুর্বল হয়ে যাবে।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা