অনলাইন ডেস্ক
শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ উর রহমান আসামিকে ৮ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এদিন আদালতে আসামি রেখাকে হাজির করে তার ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার (২০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে রেখাকে গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সোয়া ১০টায় মালিবাগের একটি ফাঁকা বাসায় ভয়ঙ্কর এক গৃহকর্মীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা। গৃহকর্মীর পাশবিকতা দেখে আঁতকে উঠেছেন মানুষ। বৃদ্ধা মাকে দেখভালের জন্য রাখা হয়েছিল গৃহকর্মীকে। সেই গৃহকর্মীর নির্মম নির্যাতনেই এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সেই মা। ভাইরাল হওয়া এক সিসিটিভি ভিডিওতে দেখা যায়, ওই বৃদ্ধাকে নগ্ন করে চরম নির্যাতন চালিয়েছে সেই গৃহকর্মী।
বছর তিনেক ধরে কিডনিসহ নানা সমস্যায় ভোগা বৃদ্ধা শুয়ে আছেন বিছানায়। পরম যত্নে তার সেবা করছেন রেখা নামের গৃহকর্মী। এরপরই দেখা গেল ভয়ঙ্কর গৃহকর্মীর কাণ্ড। সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজটি প্রকাশ করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর। এরপরই ইন্টারনেটে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায়, বৃদ্ধার গায়ের কাপড়-চোপড় খুলে তাকে জোর করে বাথরুমে ঢোকায় রেখা। শীতের সকালে বৃদ্ধার গায়ে ঢালা হয় ঠাণ্ডা পানি। কিন্তু ভেতরে গৃহকত্রীকে আটকাতে না পেরে বেরিয়ে আসে রেখার আসল চেহারা। বৃদ্ধার লাঠি দিয়েই শুরু হয় মারধর। একের পর এক আঘাতে বৃদ্ধা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে থামেনি রেখা। করা হয় মাথায় আঘাত।
একপর্যায়ে হাতের কাছে যা পেয়েছে তা দিয়েই চালিয়েছে নির্যাতন। আলমারির চাবির জন্য বুকের উপর চেপে বসে। বঁটি হাতেও তেড়ে আসে রেখা। একসময় অসহায়ের মতো আত্মসমর্পণ করেন বৃদ্ধা। গলা থেকে চেইন খুলে নেয় রেখা। হাতের বালাও পরেন। চাবি দিয়ে আলমারি খুলতে ব্যর্থ হন।
তারপরেই অসুস্থ বৃদ্ধাকে টেনে নিয়ে বাধ্য করেন আলমারি খুলে দিতে। ড্রয়ার খুলে স্বর্ণ, নগদ টাকা ও মোবাইল নিজের কব্জায় নেয় রেখা। সবকিছু ব্যাগে ভরে বৃদ্ধাকে বাসায় তালা মেরে দেয় রেখা। পরে বাসার গেট খুলে ব্যাগসহ বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে ওই ভয়ঙ্কর গৃহকর্মী। ব্যবসায়িক কাজে ছেলে ঢাকার বাইরে গেলে এই ঘটনা ঘটায় গৃহকর্মী।
শাহজাহানপুর থানা পুলিশ বলেছে, গৃহকর্মীদের নামে ছদ্মবেশে পেশাদার অপরাধীরা ঢুকে যাচ্ছে মানুষের বাসাবাড়িতে।
নির্যাতিত বৃদ্ধার ছেলে গণমাধ্যমকে বলেন, এক বছর আগে মাসিক ছয় হাজার টাকা বেতনে মেয়েটিকে বাসায় কাজে রাখা হয়েছিল। তার দায়িত্ব ছিল আমার বৃদ্ধ মাকে সেবাযত্ন করা। তাদের একটি বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে মেয়েটি এসেছিল। সেখান থেকে পরিচয়ের সূত্রে তাকে বাসার কাজে রাখা হয়।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা