অনলাইন ডেস্ক
তবে ফ্রাঞ্চাইজিটির প্রথমবারের মতো বিপিএলের শিরোপা জয়ের পথে ব্যাট হাতে কার্যকর অবদান রেখেছেন তিন সিনিয়র ক্রিকেটার তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরে গেছেন তামিম ও মুশফিক। মাহমুদউল্লাহ খেলে চললেও বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিয়মিত নন। অথচ তাদেরকে নিয়েই শিরোপা উঁচিয়ে ধরার স্বাদ নিয়েছে বরিশাল।
ফাইনাল জয়ের পর সেই কটাক্ষের কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বিজয়ী দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুভূতি জানানোর জন্য তাঁকে পুরস্কার অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এইচডি অ্যাকারম্যান ডেকে নেন। সেখানে গিয়ে তামিম প্রথম কথাটাই বললেন, ‘আমি এখানে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ আসতে বলব।’ দুজনেই সেখানে যাওয়ার পর তামিম ফরচুন বরিশালের হয়ে জেতা বিপিএলের ট্রফিটা মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে উৎসর্গ করার ঘোষণা দেন। এরপর যোগ করেন, ‘এটাকে আসলে মুশির ট্রফিই বলা যায়!’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সঞ্চালক এইচডি অ্যাকারম্যান এক পর্যায়ে মুশফিকের উদ্দেশে বলেন, ‘আমি কাউকে কোনো অসম্মান না করেই বলছি, এই বুড়োদের মধ্যে এখনও লড়াইয়ের মানসিকতা বাকি আছে…।’
মুশফিক জবাব দেন, ‘আমি সেটাই আশা করি। আমরা ভবিষ্যতেও আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’ তার কথা শেষ হতে না হতেই তামিম যোগ করেন, ‘বুড়ো, কিন্তু এখনও নট আউট।’
অনুভূতি জানানোর সময় কেন মঞ্চে মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহকে ডেকে নিলেন আর কেনই বা তিনি ট্রফি এ দুজনকে উৎসর্গ করছেন এবং ‘মুশির ট্রফি’ কেন বললেন, পরে সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তামিম।
তিনি বলেন, ‘এই ধরনের টুর্নামেন্টে প্রচুর চাপ থাকে। এখানেই আমাকে মুশিকে ধন্যবাদ জানাতে হবে। কারণ, সে আমার ওপর থেকে অনেক চাপ সরিয়ে নিয়ে গেছে। মুশি, মাহমদুউল্লাহ এবং অন্যদের সমর্থন ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।’
পুরো টুর্নামেন্টে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে টুর্নমেন্ট সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বরিশালের তামিম ইকবাল। আর ম্যান অব দ্যা ফাইনাল হয়েছে তারই সতীর্থ কাইল মায়াসৃ।
বরিশালকে প্রথমবার বিপিএলের শিরোপা জিতিয়েছেন তামিম ইকবাল। ব্যাট হাতেও করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান ৪৯২ রান। বাঁহাতি ওপেনার ১৫ ম্যাচে ১২৭.১৩ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ৪৯২।
ফাইনাল ম্যাচেও খেলেছেন ২৬ বলে ৩৯ রানের ইনিংস। সেঞ্চুরি না পেলেও টুর্নামেন্টে তিনবার অর্ধশত রানের দেখা পেয়েছেন। স্ট্রাইক রেট খুব ভালো না হলেও ১৮টি ছয়ের পাশাপাশি আছে ৫৪টি চার। তবে টুর্নামেন্ট সেরা হতে বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে দলকে লিড দিয়ে শিরোপা জেতানোতে।
টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার দৌড়ে ছিলেন কুমিল্লার তাওহিদ হৃদয়ও। তিনি ব্যাট হাতে করেছেন ১৪ ম্যাচে ৪৬২ রান। সেটাও ১৪৯.৫১ স্ট্রাইক রেটে।
বরিশালের প্রথম শিরোপা জয়ের দিনে নায়কের ভূমিকায় থাকতে পারে অনেকেরই নাম। তামিম ইকবালের দুর্দান্ত ব্যাটিং, সাইফুদ্দিনের বোলিং। তবে এসব ছাপিয়ে ফাইনালের নায়ক হলেন কাইল মায়ার্স। বল হাতে ৪ ওভারে মাত্র ২৬ রানেই নেন এক উইকেট।
এরপর ব্যাট হাতেও এই তারকা ঝলক দেখিয়েছেন। ৫ চার আর ২ ছয়ে সাজানো তার ৩০ বলে ৪৬ রানের ইনিংস বরিশালকে নিয়ে যায় জয়ের আরও কাছে। তারই স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ম্যান অব দা ফাইনালের পুরস্কার।
fblsk
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা