বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
রুলে সাধারণ বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর পর্যন্ত কেন করা হবে না- তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়। রিটে সাধারণ বিসিএসের মাধ্যমে চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ ৩২ বছর পর্যন্ত করার আর্জি পেশ করা হয়।
রিটের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের বয়স, যোগ্যতা ও চাকরির আবেদনের বিধিমালা ২০১৪ এর ১৪ বিধিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
এই বিধিতে বলা আছে, যারা সাধারণ বিসিএস ক্যাডারে পরীক্ষা দিবে তারা ৩০ বছর পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে পারবে। অথচ জুডিশিয়াল সার্ভিস পরীক্ষায় ৩২ বছর পর্যন্ত আবেদনের সুযোগ রয়েছে।
শুধু তাই নয়, ১৪ উপবিধিতে বলা আছে, শিক্ষা ক্যাডারেও ৩২ বছর পর্যন্ত পরীক্ষার সুযোগ পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, জুডিশিয়াল সার্ভিসে ৩২ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাচ্ছেন।
অথচ সাধারণ বিসিএসে অংশগ্রহণকারী ৩০ বছর পর্যন্ত সুযোগ পাবেন। এটা সাংঘর্ষিক। চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে যেন সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত হয়, রিটে আমরা তা চেয়েছি।
৩০ বছর পার হয়ে যাওয়ায় বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত বিজিত শিকদারসহ পাঁচ শিক্ষার্থী এ রিটটি দায়ের করেন।
পরবর্তী মন্তব্যের জন্য আপনার নাম,ইমেইল,ওয়েবসাইট ব্রাউজারে সংরক্ষণ করুণ
সম্পাদকঃ
বিডিবিএল ভবন ( লেভেল - ৮) ১২ কারওয়ান বাজার সি/এ, ঢাকা, বাংলাদেশ।
কপিরাইট © ২০২৪ পাওয়ার্ড বাই লালসবুজের কথা